সময় ও তার সন্তানেরা
রঙিন কলসের জল পান করে
চলে যায়—
উদ্ভিন্নযৌবনা দুপুর
তোমার বেদিমূলে রেখেছি কষ্টের কন্যাদের,
আমৃত্যু অন্ধ জেনেও
সাধনা করি আলোর।
সত্তার সমুদ্রে নেই ঢেউ
সংখ্যাহীন চিৎকার হাঁটতে হাঁটতে
বেরিয়ে আসে আমার আঙুল হতে—এবং রক্তাক্ত
ঝরনা বয়ে চলে জন্মান্তরের দিকে—এবং যারা
জানে কিংবা কিছুই জানে না
ঠিকানা আছে কি না—পালক দেখে কল্পনা করি
কেমন ছিলো সেই পাখিটি...
মহাজাগতিক বৃক্ষের নিচে
তন্ত্র-মন্ত্র-ধ্যান-সাধনা-নৈঃশব্দ্য-নৈঃসঙ্গ্য শেষে
যারা সন্দেহ করে হলুদ টিয়ার
দহন ও তার সঙ্গীরা
যদিও জানে না নিকৃষ্ট কারুকাজ
তবুও বয়ে চলি ভয়ে চলি
অন্তত শাশ্বত চিরন্তন...