হারিয়ে যখন যেতে চাও হারিয়ে যাও—
পুরাতন গলির ঘ্রাণ শুকাতে না শুকাতেই
এখানে ফুলের বাগানে নষ্ট তরলের উল্লাস
রক্তহৃদেও শাপলা নেই আর।
মানুষের সমুদ্র অভিমান বুকের শাশ্বত গ্লানি
গ্লাস ও জলের মিতালি ভুলে
সবজির পাশে বসে থাকা সন্ধ্যায়
সরলতম জীবনের স্বাদ আমি পাইনি।
পৃথিবীর শহরে শহরে জ্যামিতিক নকশায়
সাজানো খাদ্য তাদের ঘ্রাণ ভুলে
যেসব ক্যালেন্ডার ছিলো অতি প্রিয়
তাদের সাথে গিয়েছে অভিসারে।
কোথায় শান্তি পাবে তুমি?
এটুকু আহারের লোভে আমার পিঁপড়ে হৃদয়
বারবার ছুটে যায় নৈঃশব্দ্যের দীর্ঘ শরীরে,
বৃষ্টির জল হয়ে এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ
দেখি এই বুঝি শালিক এই জীবন এত অপচয়!
গভীরে থাকা বিভ্রান্তির নেশা
আজ এক ঝাঁক পাখি হয়ে চলে যেতে চায়
কিন্তু উড়ে যাওয়ার ক্লান্তির ভয়ে
কতদিন ফিরে এসেছি নিজস্ব করোটিতে।
মায়ের নরম মাটিতে ফুল ফোটার আশায় আছে যারা
তাদেরকে উপহাস করে করে কেটেছে যৌবন—
কারা তবে সুখী নিভৃত বনভূমিতে
কারা অন্ধকারেও খোঁজে পায় রাজহাঁস তবে?
যদি তুমি পেয়ে থাকো তাদের ঠিকানা
এখনও জানানোর রয়েছে বিবিধ কৌশল
নিখোঁজ হবার নেশা যখন জেগেছে স্নায়ুতে
এই পথে তুমি এসে এই পথেই নিখোঁজ হও।