ভালো লাগে ঘ্রাণ কবিতার শরীরের আমার খুব
ভালো লাগে কবিতার চুলে হাত রেখে শুয়ে থাকি।
এখন ভীষণ সবুজ গরম বলে কবিতার ওষ্ঠ খুঁজি
শহরের ঘুঁজিতে ঘুঁজিতে শব্দের সাথে করি গল্প,
মুখের কাছে তার জ্যামিতিক তিলে আঁকি উল্লাস।
জলের গভীরে ধরি বোধের মাছ, কবিতার দেহের  কাছে ছুটে যাই প্রতি রাতে, প্রতি বৈশাখে, বৃষ্টিতে
তার আঙুলে প্রতীক্ষার বরফ রেখে চাই সংসার,
নরম তলপেটে সোনালি স্বপ্নের সন্তান করে কান্না।
কতদিন কবিতার স্তন থেকে নিয়েছি আমি জীবন
পান করে হয়েছি ক্লান্ত, বিকেলে দেখেছি তার চিবুক।
এখন হরিণ দৌড়ালে আমি শুয়ে থাকি মৃত বাঘ
কবিতার হাত ধরে শিখেছি নদীর বর্ণমালা, বনের বাক্য
কবিতার দিকে চেয়ে চেয়ে শিখেছি হলুদ হরমোন
শিখেছি নারীর শরীর কবিতার শরীরের মতোই নরম।
কবিতার দাঁতের কাছে শিখেছি প্রতিবাদ, দ্রোহ-
রমণে শিখেছি পুরুষ থেকে মানুষ হওয়ার প্রকৌশল,
কবিতার কাছ থেকে শিখেছি কবি হওয়ার কষ্ট
মানুষের সমাজে একা থেকে থেকে একা হওয়ার কষ্ট।