চলে গেলো আরাধ্য গোধূলি—
তুমিও চলে গেলে অবশেষে প্রথাগত পথে
এখানে এখন ভীষণ শূন্যতা খেলা করে;
এখানে এই মাঠে শবের প্রতীক্ষায় আছে যে
প্রজাপতির শরীর থেকে বর্ণালি মুছে গেলে
আকাঙ্ক্ষার দুর্যোগে ভেঙে যায় তার হৃদয়।


কারা যেনো হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেলে
ফলের পরিচয় না জেনেই
ঢুকে পড়ে ফুলের গলিতে।
ছায়া চলে গেলে মায়া দীর্ঘ হতে থাকে এই সৈকতে
দাঁড়িয়ে আকাশ দেখি ও দেখাই—
একাকিত্বের সুদীর্ঘ পথের ভয়ে তুমিও
অবশেষে হয়ে গেলে পেয়ে গেলে যৌথ জীবন।
গ্লাসের শেষ তৃষ্ণাটুকু ওষ্ঠে নিয়ে
তুমি যাকে দেবে—সতেজ মাংস পাবে পরমায়ু
হায় শীতের ঝরা পাতা এসো—এখানে আশ্রয় আছে।


যারা চলে যায় রাত্রির আলিঙ্গনে
আমার হৃদয়ে তাদের চঞ্চল মুখ মুছে যায়।
অগণিত নক্ষত্রের কাছে যাবে না তোমার হৃদয়
যে পেয়ে যায় এই বন্ধন
সে ভেঙে ফেলে সব রোমন্থন।
তবুও বাষ্পের সাথে নির্জন ভ্রমণ শেষে
ফিরে যাবার মতো কেউ নেই
এখানে আশ্রয় আছে—শুধু ক্লান্তি ও বিষাদের
তোমার মাংসের শরীরে নেই কি আশ্রয় তবে?


এই রুদ্র বিষাদবিধৌত রাতে
পৃথিবীর সব ফুল এসেছে বুকের কাছে
যদিও একদা ফুলের কাছে কাটিয়েছিলাম যৌবন
আজ আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয় গিয়েছে শুকিয়ে
ফ্রিজের ভেতরে ওসব মৃত মাছের মাংসের সাথে
আমার প্রেমিক হৃদয় শুয়ে আছে কদর্য শান্তিতে।
কেউ কেউ চলে যাচ্ছে সুদীর্ঘ নির্বাসনে
দূরে নয়, নিজের ভেতরের অচেনা সব শহরে
পৃথিবীর পাঠক গিয়েছে জেনে
কামনা থেকে কে অক্ষত ফিরে আসতে পারে?