কখনও কেউ দেখেনি সময়ের শরীর—
আমরা তবুও মেনে নিয়েছি ঋতুর বিভাজন
স্বপ্নবৎ মনে হয়, আরও গভীরে খুঁজি বোধের মাছ
দিশেহারা হতে হতে ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যা।


সন্তানের লোভ নেই এমন দুপুর হতে ঝরে পড়ে
সংখ্যাহীন হৃদয়,
সন্নত মেঘ হয়ে কার কাছে যাবে শাদা কাগজ
গোলাপেরা পরে আছে বর্বর সুন্দর
কোন দেশলাই হতে তুমি চলে যাবে নিঃসীম অরণ্যে  
সময় বয়ে বেড়ায় কুঁজ তার পিঠে!


নোঙর ছিঁড়ে চলে গেছে সবুজ জাহাজ
নখের পাশে সৌন্দর্য ঝরে পড়ে শিশির হয়ে,
মাছি তার পেটের ভেতরে নীল ক্ষুধা নিয়ে
চলে যায় হেমন্তের থিয়েটারে
রাইফেল থেকে বেরিয়ে আসে যৌনতার মদ।


বিমূর্ত চিৎকার করতে করতে চলে যাই ল্যান্ডফিলে
দুর্গন্ধময় চিত্রের পাশে শুয়ে থাকি, তবুও শুয়ে থাকি—
সাপ ও ব্যাঙ যখন গোধূলির মাঠে বাজায় সঙ্গীত
চকের দাগে প্রিয় সব মুখ মনে পড়ে;
গ্লাসের পাশে রৌদ্র হেঁটে যেতে যেতে
মুছে দেয় বিষণ্ণ আপেলের দুচোখ।


পচে যাওয়া মাংসের পাশে শহরের সতেজ সবজি
চেয়ে দেখে তোমার চলে যাওয়া
আর কোন এক নদীর তীরে মৃত পাখির ডানার সঞ্চয়
শেষে যখন বুঝে ফেলি—
বিপর্যস্ত গ্লাসের ওষ্ঠে চুম্বন খায় উপেক্ষিত তৃষ্ণা।