বেড়েই চলছে এইসব পরিধি—
অন্ধ বালুর নিচে যারা বুনে ছিলো সাধের জীবন
আঙুলগুলো দেখতে দেখতে
শুকিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন-নদীর জল!
জ্যামিতিক রেখার বিপরীতে
অনেক আলোর আশায়
এখানে এসে খুঁজে ছিলো যারা অনেক হলুদ পালক—
দৃশ্যমান বর্ণের ভেতরে ঢুকে যারা দেখেছিলো কদর্য
তারা জানে পৃথিবীর ব্যাকরণ
শষ্যের ভেতরের নীরবতার বিন্যাস।
মৌলিক সুখের সন্ধান করো না তুমি আর মাংসের শরীরে
চারিদিকে ব্যাঙের উৎপাত গিয়েছে বেড়ে—
সাপুড়েও চলে গিয়েছে বিস্তৃত নীলিমার সন্ধ্যানে।
আকণ্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে ফিরে যায় যারা একই জীবনের গভীরে
কতটুকু কাছে গেলে
মৃত্যু এসে শুষে নেবে ক্লান্তির ক্লেদ?
মানবী দুপুরের ওষ্ঠে বহু শীতের শেষে এই মানবিক নিবেদন
তুমি কেমন করে ফিরিয়ে দাও?
উপেক্ষার প্রতিটি অণুকে ভেঙে ভেঙে তবুও স্বপ্ন সাজাই
দূরতম দুরাশাতেও দাঁড়িয়ে থাকি বলে এই পাহাড়
এবং যারা পাখি পোষে
বিবিধ ধ্বনির ভেতরে রচনা করে দুঃখের বর্ণ
হায় চাঁদ ডুবে গেলে লোকে তাকে বলে অন্ধকার!
মোহন বাতাসে যখন উড়ে যায় বর্ণমালার ঘ্রাণ
তবুও থেকে যায় সমুদ্রের আদিম ক্লান্তি
লগ্ন থেকে লগ্নে মৃতপ্রায় শৈবালের সংখ্যাহীন গল্প হতে
ঝরে পড়ে জীবনের শিশির...
সমতলের অনেক উপরে মিশে থাকে অনেক রহস্য
যারা দেখেছিলো আগুনের নিচে শোভন সমুদ্র
তাদের দুচোখে আজ কেবলি স্মৃতির রোদন!
সময় চলে গেলে তুমি নিজেকেই বেশি অভিশাপ দেবে—
মানুষের জীবন এমনই করে কেটে যায়
চঞ্চল নাভির নিচে পড়ে থাকে সময়ের ফসিল।
সোনালি রোদের নেশায় ঘুম আসে যাদের
এইসব রাতজাগা সাধনা একদিন কেটে গেলে
তুমিও ভেসে উঠবে সমুদ্র-শরীরে—মৃত ও পচা
হায় আমরা মরে গেলেও তাকে ভালোবেসে বলি জীবন!