ফুল হাতে কেউ একজন মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে–
পথের মোড়ে।
সোনালী এ দৃশ্যটা নীলিমাকে আঁকতে হবে
না হয় আকঁতে হবে দুটো পাখির ঠোঁটের আলিঙ্গন
আর না হয় আঁকতে হবে বৃষ্টি ঝরা নীল আকাশ।


নীলিমা ভীষণ বিরক্ত হল
বিরক্ত মনে ভাবতে ভাবতে বলল–
এমন পুরুষতো পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো দেখেনি
প্রেমিকের মন বিজয়ে, রঙিন একটা ছবি আঁকতে হয়!
সব অযুক্তিক, শুধু পুরুষের আনাড়ি বিলাসিতা।


অনেক ভেবেচিন্তে নীলিমা এবার ছবি আঁকতে শুরু করল,
ছবি আঁকার শেষ লগ্নে এসে, নীলিমা নরম নারীর মতো
চোখে মুখে প্রেমের দীর্ঘ-শ্বাস নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল।


নীলিমার নিরব কান্না, প্রেমিকের দু'টো চোখে ভালোবাসার দৃশ্য।
প্রেমিক তাইতো বিলাসী কষ্ঠে বলছে–
আর এসবের প্রয়োজন নেই।
আমার ভালো লেগেছে তোমার কান্না!
যদি পারো বালিকার কান্নার দৃশ্যটা এঁকে দাও।
নীলিমার আবারও ভীষণ রাগ হল।
তবুও মাটির মত সে নিশ্চুপ...
কারণ, প্রেমিকের অন্তঃকরণ আজ জয় করতে হবে।


পুনরায় নীলিমা ছবি আঁকতে শুরু করল,
অতঃপর অনেক যত্ন দিয়ে আঁকা হল ছবি।
ছবির শিরোনাম হল- 'বালিকার কান্নার দৃশ্য'।


প্রেমিক ছবিটা হাতে নিয়ে কেনো জানি হাসতে শুরু করল...
হাসতে হাসতে অতঃপর নীলিমাকে জানতে চাইল–
প্রিয় নীলিমা
হাসিটা যদি তোমার কান্নার দৃশ্য হয়!
তবেই আর দেরি কেন?
এই নাও প্রেমের অধিকার।
ছবির মতো আমাকেও হাসি-খুশিতে মাতিয়ে রেখো...