(কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহবুবুর রহীম-কে নিবেদন)


বহমান নদীর মতো কবিও স্থির নেই
কবিকে লড়তে হয়–
সামাজিক ক্যান্সার ও অসত্যের বিপক্ষে।


আবার কখনও মনের অন্ধকার ঝেড়ে
কবিকেই জাগতে হয়।
জাগাতে হয়– একটা নির্বোধ জাতিকে
ঝরতে হয়– ঝরা পাতার মতো
কাঁদতে হয়– পথহারা শিশুর মতো।


কবির চোখের দৃষ্টিতে প্রেম আছে
প্রেম আছে প্রকৃতির ঢেউয়ের ভাঁজে-ভাঁজে।
প্রেমের একটা সুন্দর পৃথিবী আছে– মানুষের চোখে,
সবার চোখে তা পড়ে না;
যার পড়ে সেই-তো প্রেমিক হয়
প্রেমিকেরাই সবসময় কবি হয়।


অধিকাংশ কবি-আবার সৌন্দর্যের পূজারী,
তাঁরা হরিৎ পাতার নাচনে দোল খেয়ে খেয়ে
মানব চরিত্রগুলো কবিতায় রূপ দেয়।
অতঃপর নেচে উঠে ভালোবাসা বুকে নিয়ে
সবুজের মোহনায়।


কবিদের সংজ্ঞা দিতেই যদি হয় তাহলে শুনো–
প্রকৃতির প্রীতি নিয়ে যাঁরা সংগ্রামী হয়, তারাই কবি।


আমি আজ কবিদের কোলাহল থেকে
একজন কবির গল্প বলতে এসেছি–
কবির আজ জন্মদিন।
জন্মদিনে অন্যকিছু থাক
শুভেচ্ছাটাই আজকের অভিধানের শ্রেষ্ঠ শব্দ।


প্রিয় কবি, চোখের এবং কানের দেয়ালি ভেঙে
খুলে রাখো জন্মদিনের জানালা!
আজকের জন্মদিনে–
মানুষের ভালোবাসা কুড়াতে হবে।