মায়ের অধিকার নিয়ে অনেকেই আসল!
কেউ আসল পাখি হয়ে আমায় আগলে রাখতে
কেউ আসল বৃক্ষ হয়ে আমায় ছায়া দিতে
কেউ আসল জল হয়ে...
কেউ আসল ফুল হয়ে...
কেউ আসল আকাশ হয়ে...
অতঃপর কেউ আসল মাটি হয়ে...


একজীবনে একে-একে অনেকেই আসল...!
কেউ-কেউ এসেছে আমায় উল্টো পথে হাঁটাতে।


কিন্তু এমন একজন–যাঁর আগমন পৃথিবীর ন্যায়...
তাঁর কথা ভাবতেই–‘আমার চোখ সাগর হয়ে উঠে’
ধসে পড়ে পাহাড়ের ন্যায়–‘বুকের জমিন’
থেমে যায় দ্রুত চলার–‘পায়ের গতি’
নুয়ে পড়ে বৃক্ষের শাখার মতো–‘আমার শীর’
আমি আল্লাহর পর যাঁকে ভক্তি করি–
তিনি আমার–মা।
আমি তাঁর ভিতরদেশ খানখান করে পৃথিবীর আলো দেখেছি
জীবনের দুই-তৃথীয়াংশের বেশি তাঁকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে
অতঃপর যৌবনে এসে পা রেখেছি!
আজ আমার অনেক কিছু...
পাশে আছে–মায়াবী নারীর রঙিন আদরের ঠোঁট!
আছে–ঘরবাড়ি, স্বজন এবং সুখমহল!


আমার পাওয়া এবং দেখার স্বত্তাধিকারী–মা।
মায়ের জন্যেই আজ আমার সব।


সব ঠিকানার শেষ আছে। এমন একদিন আসবে– সবকিছু মহাসমুদ্রের মতো আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।
আমার ঠিকানা–‘আমার মায়ের চরণ, মায়ের চরণের সমতুল্য নেই।’