কোন এক পরীক্ষার শেষ মুহুর্ত।
আমরা এক ঝাঁক যুবক-যুবতী হই-হুল্লোড় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
ছেড়ে যাচ্ছি–প্রিয় এই ক্যাম্পাস।
সকলের চোখে, মুখে বিদায়ের সমবেদনা।
অচেনা পুরুষ আমি–
চোখের ক্যামেরায় অঙ্কন করি একজন রমণী।
ক্রমাগত সকলের যাওয়া হলে–
আমার চোখদুটো থমকে দাঁড়ায়, কোন এক প্রিয়জনের প্রতিক্ষায়!


খোলা আকাশ যুবক-যুবতীর আলিঙ্গনে মুখোরিত! মুখোরিত আমার চোখেত পরিবেশ!
না বলা কথা–অচেনা নারীর টানে লেপ্টে আছে!
মেতে আছে–অবাধ্য চোখ।
বারণ করেছি, শোনেনি মানা–
চোখ তার আঁখি নিয়ে ঘরে ফিরবেই।


দু'দিনের দেখা।
প্রথম পরিচয়ে নারীর ঠোঁটখানা শুকনো উঠোন!
যেন লজ্জাবতী!
মনে হয় এই প্রথম দাঁড়িয়েছে সে কোন এক পুরুষের ছায়ায়।


কিছুক্ষণ নিশ্চুপ আমাদের পথ চলা।
আমরা হাঁটছি, দূরের পথ দিয়েই হাঁটছি...
গন্তব্যের পথ দিয়েই হাঁটছি।


নীরবতা আমাদের সাথি হল।
আমরা নীরবতার আলিঙ্গনে দূর হতে বহু দূর, হেঁটেই চলছি।
সময়ের ব্যবধানে–আমাদের কথা হলো।
চুপিসারে রাখা হলো চোখে, চোখ।


এইতো সেদিন, যেন এক স্বপ্নের দিন।
পাওয়া এবং না পাওয়ার মধুময় দিন।
অনেক বলার ছিল তাকে। কিছুটা হয়েছে বলা।
অব্যক্ত অনুভূতি নিয়ে স্বপ্নের সন্ধানে চলা...