গাঁয়ের সেই মেঠো পথ খুজে পাই না আর,
নেই পথ ঢেকে দেওয়া দূর্বাঘাসের বিস্তার।
পথের ধারে পথিকদের ছায়া দিত যে বট গাছ,
অর্থের হুংকারে বহুবছর আগেই হয়ে গেছে তার বলিদান।
যে চড়ুই পাখির দল ঝাকে ঝাকে উড়ে বেড়াতো
কোথায় যে বিলীন হলো,
নেই তাদের ফসলের ক্ষেতে পোকা ধরিবার রাগ।
গায়ের পাশে বহমান প্রবাহমান নদীটা আজ মৃত।
নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকা সুবিশাল শিমুল গাছটা
যেন শুধু কালের সাক্ষ্যি।।


সন্ধ্যায় সালুনের ধোয়া ওঠা মায়াবী ঘ্রাণ আর নেই
নেই সন্ধ্যা রাতে কিচ্ছা, কিচ্ছা বলার মানুষগুলো।
মাটির উঠোন পিড়িলি বাধা বেড়ার ঘরগুলো বদলে গেছে,
কংক্রিটের উঠোন, দেয়াল, ঘর-পাকের ঘর দখল করেছে সব।
লুটে নিয়ে গেছে সেই সব স্নেহময়ী সরল মানুষগুলোকে
যাদের গাঁয়ে ছিল রোদ পোড়া পুরোন খাঁটি গন্ধ।
এখনো উৎসব হয়, কৃত্রিমতায় ভরা,
এখনো দেখা হয়, হয় কথার বিনিময়
থাকে হিসেবি কথা আর কথার ছল-কৌশল।
কৃত্রিম একগাল হাসি নিয়ে কেতাদুরস্তু ভাষায়।।


এখনো রাস্তায় এসে দাড়াই,
মাটির নয়, ইট-পাথর আর পীচের।
এখনো আনমনে খুজে যাই,
সেই অকৃত্রিম ভাললাগা সময় আর ভাললাগা মানুষগুলো।।


                              মোঃ রুহুল আমিন।