দুঃখের যে কবি আমি লিখিব কেমনে সুখ?
দুঃখে তে ঝলসে আমার খাক হয়েছে বুক।
দুখ সাগরে লইয়া গেলো নিষ্ঠুর এক মাঝি,
ফিরাইয়া দিতে পাড়ে গো মোর হইল না রাজি।
সে সখী মোর ছাইড়া আমায় চলিল একা,
পাল দাঁড়েরে ছাড়ি আমি পাইলাম না কাউকে দেখা।
হেথায় বসে ভাবি তাই নিশুত রাতের মাঝে,
এটাই কী সেই স্বপন-তরি, দেখিলাম যারে বধূ সাজে?
মাঝি গেল ছাইড়া চলি রাইখা ভুল পথে,
জিগাই আমি তারি কথা মিলি যারি সাথে।
বাতাস লইয়া আনে খবর সখি কোন্ খানে,
বেহুঁশ হইয়া ছুটি আমি তাকায়ে সেদিক পানে।
গিয়া দেখি সেজন আমার নেইকো আর আপন,
হেরি তারে বড্ড খুশি রাঙায় পর ভুবন।
সেখান হতে নেপথ্যে চলি বির-বিরায়ে ঠোঁট,
কান্নার সাগর দুখের সহিত বাঁধিল জোট।
পিছু হতে আসে ডাক কণ্ঠ বড়ই চেনা,
ভিক্ষা দিতে আই-লো ছুটি লইয়া দু-আনা।
শরমে শির গেল পুতি আত্মা ছুটিল গগনে,
ঝড়িলো অশ্রু থুতনি বয়ে তাহার দুই চরণে।