আমার গাঁয়ের মধুর স্মৃতি পথের বাঁকে বাঁকে,
সুহাসিনী সূর্য হাসে, দোয়েল-শালিক ডাকে।
রাতের বেলা গাঁওখানিরে জোছনারা দেয় ধুয়ে
সকালবেলা কচি ঘাসে শিশির প'ড়ে নূয়ে।


মনটা আজও প'ড়ে থাকে গাঁয়ের নদীর তীরে,
কেউটে ফুলের মুক্ত সভা, শালিক-ঘুঘুর ভিড়ে।
দীঘির জলে দলে দলে হাঁসের মিলনমেলা,
বাচ্চাগুলো মা'য়ের পিছে ক'রে বেড়ায় খেলা।


সরষে ফুলের মাঠের 'পরে আগুন জ্বলা দুপোর,
মিষ্টি রোদের পরশ বুলায় সূর্য মাথার উপোর।
সাঁঝের বেলা দূর আকাশে রঙিন মেঘের আল্পনা,
নদীর জল দেখে মনে স্বপ্নবিধুর জাল বোনা।


মোর অজানায় ধানের শিষে দোল দিয়ে যায় কত,
মনটা টানে খুশির বানে দেখবো ইচ্ছেমত।
ইটের পাঁজরে পাই না খুঁজে পথের নরম ঘাস,
বুকটি ভরে পাই না ফুলের মন মাতানো সুবাস।


সবুজ গাঁয়ের মায়ায় উদাস গভীর আনমনে,
কখন যাবো শ্যামল গাঁয়ে মিলবো সবার সনে?
সাঁঝের বেলা মা জননী থাকেন পথ চেয়ে,
সকল কষ্ট যাবো ভুলে স্নেহের পরশ পেয়ে।


শার্শা, যশোর।
০৩.০৪.২০১৫ খ্রিঃ