আমাকে কেউই করে না স্বাগতম সুন্দর ধরণীতে,
আমি ঠিকই ধরি, যে চায় না আমায় ধরা দিতে।
আমি অদৃশ্য ভাইরাস ইচ্ছেমত যেথা সেথা যাই,
সেই সব মানুষের কাছে যাই, যাদের করি বাছাই।
ক্ষুদ্র সৃষ্টি হয়ে অবমাননার দুঃসাহস করে খোদাকে,
অপমান করে রাসুলের, আক্রমণ করি গিয়ে তাকে।


যেথা চলে মুসলিম নিধন, তাদের আত্মচিৎকারে-
আকাশ বাতাস বিভীষিকাময় জাপটে ধরি তারে।
যারা মা-বোনের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলে-
হত্যা করে। তাদের সামনে নিজেকে ধরি মেলে।
যেজন সোনার সংসারে আগুন লাগায় অকারণে,
আমি ভয়ানক করোনা দ্রত সাক্ষাৎ করি তার সনে।


সুখের নিদ্রায় যারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ক'রে-
ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুদের ঝরায় অকাতরে।
সন্তানের সামনে মাকে করে চরম অসম্মান,
সংসারের কর্ণধার পিতাকে হতে হয় বলিদান।
রমনীর নিকট থেকে কেড়ে নেয় স্বামীসোহাগ,
ঘৃণ্য কাপুরুষেরা সন্তানদের করে দেয় অনাথ।


যাদের অনিশ্চিত জীবনের মাঝে দেয় ফেলে,
মানুষের আর্তনাদে অট্টহাসে দন্তপাটি মেলে।
যারা সাম্প্রদায়িকতার ধূয়ো তুলে মানুষ পিটিয়ে
হত্যা করে। তাদেরকে আমি আক্রমণ করি গিয়ে।
যারা অসহায় নিরুপায় ভুখা মানুষের অধিকার
বঞ্চিত করে গড়ে অর্থ সম্পদের বিরাট পাহাড়।


তাদের কাছে যাই যারা যৌতুকের লালসায়
ফুলের মত গৃহবধূকে আগুনে ঝলসায়।
সময়াসয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুদ ক'রে পণ্য-
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতি মুনাফা অর্জনের জন্য।
আমি যাই ঘুষখোরের কাছে সে নরাধম ঘৃণিত!
যার কারণে বৈষম্য মানুষ স্বাধিকার হতে বঞ্চিত।


যারা চক্রান্তে নির্দোষ ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায়
জড়িয়ে সন্তানকে মাতৃ-পিতৃহীন করে হামলায়।
যারা করে সীমা অতিক্রমের পর সীমা অতিক্রম,
আমি করোনা ভাইরাস তাদেরকে ছাড়ি না একদম।
কেবল সৃষ্টিকর্তা ছাড়া তাদের রুখতে পারে না কেউ
অথচ মুখে তরঙ্গায়িত হয় অমিয় বাণীর ঢেউ।


তারা মা মাটি মেহনতি মানুষ ও দেশের চির দুশমন
আমি তাদের বাছাই করে তাদেরকে করি আক্রমণ।
আমি করোনা নিরপরাধ সৎ মানুষের বুকের খাঁচে
ঘাটি গাড়ি না এমনিতেই তারা দুঃসহ কষ্টে আছে।
দৈনন্দিন জীবনের নিষ্ঠুর কষাঘাতে তাদের পাজরা
ঘাত প্রতিঘাত যন্ত্রণায় কলিজা একেবারে ঝাঝরা।


১২-০৫-২০২১ খ্রিঃ।