কেউ তোমাকে চর্ম চোখে দেখতে চায়,
কিন্তু দেখতে ব্যর্থ, তাই বলে তুমি নাই!
দেখতে চাওয়াটা তোমাকে ভুল বোঝা,
ভুল বোঝা মানে তোমাতে ত্রুটি খোঁজা!


তোমার সত্তাকে চিনতে অক্ষম যারা,
তোমার ভুলত্রুটি স্বীকার করে তারা!
ভুল ত্রুটি স্বীকার করা মানে তোমায়-
আবদ্ধ করে বেঁধে ফেলা সীমাবদ্ধতায়!


তোমার অবস্থিতি নির্দিষ্ট কোনো স্থানে,
একথা যদি কেউ বিশ্বাস করে প্রাণে-
তবে কী সে কিছু কিছু স্থানকে তুমিহীন
মনে করলো? যা মোটেও নয় সমীচীন।


তুমি নাকি শুধুই একটি নাম ছাড়া আর
কিছু নও, কেউ কেউ মনে করে আবার।


বিদ্যুৎ প্রবাহের দ্বারা লক্ষ বাতি জ্বলে,
তার অদৃশ্য শক্তিতে বৃহৎ ইঞ্জিন চলে।
তার সম্পর্ক শক্ত ধাতব পদার্থের সাথে,
অনুমিত হয় টেস্টার ছোঁয়ালেই তাতে।


অদৃশ্য বিদ্যুতের অবস্থিতির কী প্রমাণ?
সে আছে কাজের মাধ্যমে পায় অনুমান।
এটা স্বীকৃত, বিদ্যুৎ থাকা বা না থাকাতেই
ধাতবের আকৃতি একই উভয় অবস্থাতেই।


বিদ্যুৎ প্রযুক্তিকে ধারণ করে আছে যেমন,
তিনিও সম্যক ধারণ করে আছেন তেমন।
যখন দেখার মতো কেউই থাকে না শেষ
তখনও তিনি দেখেন, অতন্দ্র,  অনিমেষ।


তাঁর অনুপস্থিতি বিশ্বাসহীনতার পরিচয়,
এমন হলে সমগ্র সৃষ্টিতে ঘটতো বিপর্যয়।
যন্ত্রের মতো পৃথিবী কভুও হয় না নিশ্চল,
তাঁর সমান কেউ নেই তিনি সর্বদা অটল।


০৪/০৮/২০২১ খ্রিঃ