তদানীন্তন মানুষ গ্রাসাচ্ছাদন সংগ্রহে ছিল অপারগ,
আরাম আয়েশ বিবর্জিত দিনগুলো ছিলো ভয়ানক!
আদরের সন্তানের কোন দাবি মেটাতে না পারতো,
অভাব ছিলো, সুখ শান্তির সীমা ছিল না তার তো।
আজ মানুষের অর্থ সম্পদ প্রভাব প্রতিপত্তি বৈভব
মান মর্যাদা সম্মান ইজ্জত ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে সব।
বিশ্বব্যাপী বহুমুখী কর্ম সংস্থান হয়েছে সম্প্রসারণ,
পেশার তাগিদে করছে সবে ছকেবাঁধা জীবনধারণ।


জীবন আজ একঘেয়েমিতে একেবারে অতিষ্ঠ তাই,
আমাদের জীবনে সবকিছুতে একটু বৈচিত্র্যতা চাই।
বৈচিত্র্যহীনতা কাটাতে কর্মজীবী চায় একটু অবসর,
এখন কোনো কর্ম নাই বিরামহীন অবসর, সংবৎসর।
উঠতো নাভিশ্বাস নগরবাসীরা চাইতো খোলা নন্দন,
গ্রামবাসী চাইতো একটু ভ্রমণ সাথে কিছুটা বিনোদন।
এখন সবাই গৃহবন্ধী, আগে ছিলো জীবন আড়ম্বরপূর্ণ,
এখন অনেকে কাটায় মানবেতর জীবন, সবকিছু চূর্ণ।


আগে গাড়ি চালিয়ে পাড়ি জমাতো এখন পায়ে হেঁটে-
প্রয়োজন মেটাতে হয়, দুর্দশায় দিনগুলো যায় কেটে।
সব বন্ধ স্কুল কলেজ অফিস কারখানা বিপনী বিতান,
তালা ঝুলছে গেটে, বন্ধ সামাজিক সকল অনুষ্ঠান।
আগে এবাদতখানা থাকতো এবাদতকারী শূন্যতায়,
এখন সেটা বন্ধ উপাসকদের উপচে পড়া ভীড় সেথায়।
পৃথিবী এখন সংকাটাপন্ন অবস্থায় তবু এখনও কমেনি,
মোদের বিপরীত চিন্তা কর্মপন্থা, এখনো মোরা দমেনি।


মানুষে মানুষের ছিলো বন্ধুত্ব সৌহার্দ্য কাছে গিয়ে শান্ত,
এখন একে অন্যের দূরে থাকে, হতে পারে কনোরাক্রান্ত!
আগে মানুষের সৎকার হতো সম্মানে এখন আপনজনও
লাশের পাশে যায় না, থাকছে না আর আপন আপনও।
জীবনে মোরা অনেক বৈচিত্রতা পেয়েছি, কল্পনা করি নাই
পেয়ে গেছি সেটাও, জীবনে আর কত রকম বৈচিত্র্যতা চাই?
এখন বৈচিত্রতার একঘেয়েমিতে ভুগছি, আর ভুগবো কত?
আর বড় বিপদ এলে আমাদের চরিত্রটা হবে সংশোধিত?


২০/০৪/২০২০