আঙিনার সামনে দিয়ে অবস্থিত তাদের ব্যক্তিগত পথ,
কেউ পদার্পণ করলে গালি দিয়ে তাকে করে বেইজ্জত!
অশ্রাব্য কথা শোনার ভয়ে পথ পরিত্যাগ করে পথচারী,
অন্য দিক দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায় কাদাজল দিয়ে পাড়ি।
একজন ভদ্রলোক পথ অতিক্রম করে কাদাজল মাড়িয়ে,
তারা মানুষের কষ্ট দেখে আনন্দে হাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।


নামাজ পড়ে, রোজা থাকে, সাধনার স্বর্গে যাওয়ার জন্য,
পড়শিকে কষ্ট দেয়, তারা আবার সমাজে বিশিষ্ট গণ্য।
ঘর থেকে বেরিয়ে তারাও অন্যের জমিতে করে বিচরণ।
দেশের সব জায়গা তাদের নয় তবে কেন এমন আচরণ?
এহেন আচরণের কারণে কোনো বন্দেগী হবে কী গৃহীত?
শক্তি ঔদ্ধত্য অহমে সব উপার্জন কী হচ্ছে না কলঙ্কিত?


তাদের পথ দিয়ে তার আপন ঠিকানায় পৌঁছুলে পথিক,
বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগের দিনে তার কষ্ট লাঘব হতো ঠিক।
সে অসুবিধায় পড়েছে বলে তাকে ভেবোনা দুর্বল ব্যক্তিত্ব,
প্রতিরোধ প্রতিবাদের সাধ্য আছে, করে না এটা মনুষ্যত্ব।
এমন কদাচরণে পার্থক্য করে মানুষ আর অমানুষের,
এমন জঘন্য ব্যক্তির সাহায্য চায় না নিরুপায় পথিকের।


জমি বাড়ি বাগিচা পথঘাট যার স্থানে সেই পড়ে থাকবে,
থাকবে না শুধু মানুষ, এসব দাম্ভিকতা কী কাজে লাগবে?
পথিকের ঠিকানায় পৌঁছানোর পথ নেই তবে তার কাছে
সবার অগোচরে একটি সুন্দর নয়নাভিরাম পথ আছে।
একটি অদৃশ্য পথ, যে পথ কভু দেখা যায় না চর্মচোখে,
সেই অদৃশ্য পথে পা রাখলে পৌঁছানো যায় অমর্ত্যলোকে।


পথ দেইনি পথিকের তাতে দুঃখ নেই, কিন্তু জানেনা তারা
পথিক নয় বরং তারাই হতাশাগ্রস্ত দিকভ্রান্ত দিশেহারা!
পথিক জানে পৃথিবীর দুঃখ কষ্ট কোনোটা চিরস্থায়ী নয়,
তারা যা করছে তা সঠিক নয়, তারা একদা হবে অসহায়।
তারা জানে আমরা আধিপত্যের মালিক পথিক নিরুপায়,
তার মতো নগণ্যকে ভুলিুণ্ঠিত করলে কী বা এসে যায়?


০৭/০৫/২০২১ খ্রিঃ