(ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়, হৃদয় বিদারক ঘটনা কারবালার মর্মান্তিকতা, এতো বিপুল ঘটনা আমার মতো অধমের পক্ষে উপস্থাপনা দূরূহ ব্যাপার তবুও বিরত থাকতে না পেরে সামান্যতম উপস্থাপন করেছি)


আক্ষেপ! আজও পর্যন্ত মোরা মুনাফিক জালিম
আলাদা করতে পারিনি, কারণ তারাও আলিম।
এরা ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের নয়, মুসলমান,
ছদ্মবেশী, পাগড়ি লেবাস করেছে পরিধান।
চিহ্নিত অবিশ্বাসীরা যতোটা না ক্ষতিকর,
এরা তারচেয়ে ইসলামের ক্ষতিকর অধিকতর।


এদের কথা কাজে আসমান জমিন ফারাক
মানবতার শত্রু, মুখে এক হৃদয়ে আর এক।
ফন্দিবাজ ক্ষমতালোভী ঘৃণিত মহাপাতক,
ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জালিম নরাধম মহাঘাতক।
দীনের লেবাস পরিহিত অভিশপ্ত বেইমান,
করতে চায় খোদার হুকুমাত নাপাক সন্তান।


নানা ছলে কাপুরুষদের এনেছিলো বশে,
ইমামকে আনতে পারেনি মরছিলো আফসোসে!
শুধু নিতে বাকি ছিলো ইমামের বাইয়াত,
নবীর নাতি কীভাবে আপোষ করে মিথ্যার সাথ?
দুগ্ধ শিশু সঙ্গী সাথী পরিবার পরিজন,
সাথে করে নিয়ে ছিলেন হজ্জের লক্ষ্যে গমন।


ইমামের অবস্থান জানতে ইয়াজিদ হজ্জের মাঠে,
সশস্ত্র গুপ্তচর পাঠায় বেঁধে আটেঘাটে।
হজ্জের মাঠেই ইমামকে শহীদ করার পায়তারা-
করেছিলো, জালিম ইয়াজিদ ও তার দোসর যারা।
ইমাম পবিত্র ভূমিতে রক্তপাত করাকে-
সমীচীন মনে না করে সরান কাফেলাকে।


অনুভব করতে পেরে ইমাম নিরাপদ দূরত্ব,
কারবালায় অবস্থান করতে মনে করেন গুরুত্ব।
পবিত্র ইমাম আসেননি যুদ্ধ করার জন্য,
ইয়াজিদের বিশাল বাহিনীর কাছে তা নগণ্য।
যদি আসতেন সাথে শিশু পরিবার পরিজন
আনতেন না, সাথে থাকতো সশস্ত্র সৈনগণ।


ইমামের কাজ নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর আনুগত্য,
প্রতিষ্ঠা করা সুবিচার ন্যায় নীতি ও সত্য।
যদি ধরায় প্রতিষ্ঠিত হতো আল্লাহর রাজ,
পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ করতো সদা বিরাজ।
তাঁকে নিশ্চিহ্ন করলে সত্যের প্রদীপ চিরতরে
পৃথিবী থেকে নিভিয়ে দেওয়া যাবে ফুৎকারে।


উদ্দেশ্য জোরপূর্বক করানো বশ্যতা স্বীকার,
হলেন না নত, হয়েছেন নির্মমতার শিকার।
খাদ্য পানি বন্ধ করে ইমামের কাফেলায়,
বন্দি করে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালায়!
ইমাম হুসেন ছিলেন ইসলামের দূর্গ অপরাজেয়
অপমানের চেয়ে মৃত্যুকে মনে করেন শ্রেয়।


জীবনের মায়ায় জালিমের দাবি তিনি মেনে
নেননি, নবীর দীনকে কলঙ্কিত করতো জেনে।
মানুষ সত্য খুঁজে পেতো না হাশর পর্যন্ত
মিথ্যাকে জানতো সত্য সমস্যার ছিলো না অন্ত।
উম্মতের কথা ভেবে সব দিয়েছেন বিসর্জন
তিনি, তাঁর সঙ্গীগণ নিষ্ঠুরতা করেছেন বরণ!


১৩/০৮/২০২১ খ্রিঃ