সময় অসময় পরিস্থিতি বোঝে না, শুধু অযথা,
মিথ্যা আত্মগরিমায় মুখে চাতুর্যপূর্ণ কথা।
যার মুখে জ্ঞানের কথার সমাহার,
জীবন দর্শনে অনুপস্থিত উত্তম শিষ্টাচার।


দীক্ষায় বেভুলকে অন্ধত্ব থেকে দিতে চায় নিস্তার,
নিজেই অজ্ঞেয় তার জীবনে নিমজ্জিত ঘোরাঁধার!
আগন্তুক কূপমণ্ডূকের পরিধি করে ফেলে আন্দাজ,
ভিত্তিহীন বাক্য দ্বারা সত্য প্রত্যাখান তার কাজ!


যে কথা অনুধাবনে ব্যর্থ তাকে বলে বিভ্রান্তিকর,
যে যেটাই বলুক গ্রহণ করা কঠিন, সে মান্যবর।
'সত্য' শিকারীর তীরের মতো করে যায় যাক লঙ্ঘন,
তবুও সঘোষিত জ্ঞানীর কথাই চূড়ান্ত; করে আস্ফালন!


যিনি আদর্শ, জীবনে সবক্ষেত্রে যাকে করতে হয় ধ্যান,
যার অনুসরণ ব্যতীত প্রাপ্তি অসম্ভব আধ্যাত্মিকজ্ঞান।
যাঁরা দিবেন চূড়ান্ত আদালতে নির্ভুল সাক্ষ্য প্রদান।
সারা জীবন তাঁদের করে চরম ঘৃণায় প্রত্যাখান!


কী দুঃসাহস অভিযোগের তকমা লাগায় তাঁদের বিরুদ্ধে!
জঘন্য অপরাধীদের দেবতুল্য ভাবে, 'তারা' সবার উর্ধ্বে।
সত্য অনুধাবনে কেনো দ্বীধা? কেনো এতো গাত্রদাহ সেথা?
যাদের ভাবে নক্ষত্র তারা কী দেবে পারলৌকিক নিশ্চয়তা?


ধামাচাপাচাপিতে জীবনভর কী সফলতা পাওয়া যায়?
নিজেও জানে না মহাকালের গর্ভে কখন সে হারায়!


২৯/০৯/২০২১ খ্রিস্টাব্দ