ক'দিন আগে বিকেল বেলা গেলাম পশুহাটে,
শত শত গরু ছাগল উঠেছে তার মাঠে।
ইচ্ছা একটি ছাগল কেনার; বহু পশুর ভিড়ে,
একটি পছন্দ হলো অনেকটা ঘুরে ফিরে।
কিন্তু বিক্রেতা দর নিয়ে করে কষাকষি,
অবশেষে সমঝোতায় ছেড়ে দিলো রশি।


জানিনা সে এলো ধনী না দুঃস্থের ঘর থেকে,
বাড়ি আসতে অসহায় শুধু সে যায় ডেকে!
কিছুদিন এদিক সেদিকে করে ছুটাছুটি,
মন খারাপ খেতে চায় না, দৌড়ায় উপড়িয়ে খুটি।
খেতে চায় না তাই গিন্নী বলেন "বেঁচে দাও ওকে",
বললাম "আরেকটা কিনে যদি যাই এমন ঠকে"!


কিছুদিন যেতে বাড়িতে গেলো পোষ মানিয়ে,
বাচ্চারা বড্ড আনন্দ করে তাকে নিয়ে।
মাটিতে পড়া কিছু খায় না, উন্নাসিকের স্বভাব,
তাই ছোট মেয়ে আদরে নাম দিয়েছে নবাব।
শিশু যেমন মাকে খোঁজে চোখের আড়াল হলে,
সেও খুঁজে হযরান হয়, চোখে অশ্রু গলে!


ঈদের দুই দিন আগে দেখি গিন্নীর মনটা খারাপ!
বললাম "কী হয়েছে, কেন আছো এমন চুপচাপ"?
বলল "এই দেখো" একটি ছবি দেখিয়ে ফোনে,
দেখে বুঝলাম গিন্নী কেনো যে ছিলেন আনমনে।
অবোধ সন্তান যেমন তার মা'কে জড়িয়ে থাকে,
সেও যেনো সেভাবেই জড়িয়ে আছে তার মা'কে।


হৃদয় তার মর্মাহত, চক্ষুযুগল ছলছলে!
বলেন "কীভাবে হাতিয়ার চালাবে তার গলে?"
গিন্নীকে বললাম "এতে বিচলিত হবার কিছু নেই,
মা'বুদের আদেশ, এর কল্যাণ নিহীত এখানেই"।
"হয়তো দীপের মতো উবে যাবে তার অস্তিত্ব
কিন্তু ক'দিনের জন্য রেখে যাবে মমত্ব।


১৯/০৭/২০২১ খ্রিঃ