তুই এখনও আর কতো কষ্ট পাবি বল্।
নির্জন নিরালায় নিঃসঙ্গ আছিস নিশ্চল।
কষ্ট পেয়ে হয়ে গেছিস কষ্টের এক গাছ,
সকলে পাষাণ ভাবে, করতে পারেনা আঁচ!


রাতের কাছে তুই জাস না, তোর কাছে সে আসে,
দিনকে তুই খুঁজিস না, সে নিজেই প্রভাতে হাসে।
কোমল শিশির রোজ রাতে তোকে ভেজায়,
যখন তখন ইচ্ছামত ডুবায় উন্মত্ত বরষায়।


গগণবিদারী বজ্রপাতে থাকিস বুক পেতে,
হিংস্র ঝড়ও পারলো না উড়িয়ে নিয়ে যেতে।
কপালে বিষ্টা ফেলে চিল, শালিক, ফিঙেরাজা,
তোর পৃষ্টে আসীন হয়ে পথিক বিশ্রামে তরতাজা।


বোকা পথিক তোর গায়ে ফেলে পানের পিক,
মাঝে মধ্যে সারমেয় পা ছোঁয়ায় কপালের দিক।
দুর্ঘটনা কবলিত যান তোর দেহে ধাক্কা খায়,
তোকে ক্ষতবিক্ষত করে খাদে পড়া থেকে রক্ষা পায়।


তোর কী একটুও সাধ হয়না একটু ঘুরে বেড়াবি?
এভাবে ঠাই দাঁড়িয়ে আর কত রোদ বৃষ্টি খাবি?
তোরপাশে এক কৃষক গরু বেঁধে রেখে গিয়েছে,
গরুর গোবর চুনা ছিটকে তোর গা নোংরা হয়েছে।


তোর কী রাগ হয় না, একবার একটু প্রতিবাদী 'হ',
সবাই তোর শরীর নোংরা করে তাদের কিছু 'ক'।
মানুষ পারে না, তুই অত্যাচারির প্রতি ঝাপিয়ে পড়্
কতদিন সইবি এসব নির্দ্বিধায়, তুই এবার লড়্।


১৬/০১/২০১৫ খ্রিঃ