পটলা বড় দুষ্টু ছেলে
দুষ্টমী করে সময় পেলে।
বয়স তার আট-নয়
তোতলা তোতলা কথা কয়।
স্কুল তার লাগেনা ভালো
পড়ার কথায় মুখ কালো!
বাবা-মায়ের শোনে না কথা
বেড়ায় ছুটে হেথা-হোথা
পড়ায় যখন বসতে বলে
পাড়ায় গিয়ে মার্বেল খেলে।
খেলায় একবার মাতলে তার
নাওয়া-খাওয়া লাগে না আর
বাবা-মা ওর সাথে
বকে শুধু দিনে রাতে ৷
নিত্য সে পিটুনি খায়
তবুও ওর লজ্জা নাই ৷
সকালে কাঁথা মুড়ি দিয়ে
ঘুমের ভান পড়ার ভয়ে।
ওমনি মা এসে ঘরে
পিঠে ক'টা কিল মারে ৷
আড়া-মোড়া খেয়ে উঠে
পালায় গিয়ে একছুটে।
পড়ার সময় পাড়ায় পাড়ায়
টো টো করে ঘুরে বেড়ায়।
বাবা কখন বাড়ি থাকে
খোঁজ নেয় পাকে পাকে।
বাবা কাজে যায় যখন
সে বাড়ি আসে তখন।
এসে তারপর চুপে চুপে
ভাত-তরকারির হাড়ি লুফে।
খাওয়া শেষে তাড়াতাড়ি
পাড়ায় বেরোয় এক দৌড়ি।
যদি কেউ দেখে ফেলে
পড়ে যাবে কেকচিকলে।
পাড়ার যত দুষ্টু ছেলে
দল বেঁধে সবাই মিলে।
কার গাছে কি পাকে
ক'জন মিলে খোঁজেথাকে।
পটলা একেবারে বোকা
অন্যদের মাথা বুদ্ধি থোকা।
ওদের দলের সবাই মিলে
পটলার দিবে গাছে তুলে।
বলে তুই পাড়্ আমরা খুটি
মালিক এলে পালায় ছুটি।
এদিকে পটলা গাছের মাথায়
কী হবে তার উপায়?
ভয়ে পটলার হয়ে যায় কাম!
কে কে ছিলো বলে দেয় নাম।
গাছ ওয়ালা গিয়ে বাড়ি বাড়ি
বাধিয়ে দেয় পিড়াপিড়ি।
একদা কোনো পুকুর পাড়ে
গাছে উঠে লাফ মারে।
পানিতে ছিলো বাঁশের চলা
ছিড়ে তাতে পায়ের তলা।
এখন সে লাফিয়ে হাঁটে এক পা'ই
তবুও সে একবিন্দু স্থির নাই।
একদিন সে বড় হবে
তার মনের ভুল ভাঙবে।
আর করবে না  দুষ্টামী 
লেখাপড়া করে হবে দামী।


রচনা : ২১.১০.১৯৯৬ খ্রিঃ