কত অন্যায় করলে বলো তাকে বলে অন্যায়?
কত  কথা  মিথ্যা বললে সে মিথ্যাবাদী হয়?
কত পাপ করলে বল তাকে বলা যায় পাপিষ্ঠ?
কত নোংরা কাজ করলে  তাকে বলে নিকৃষ্ট?


কত আমানত খেয়ানত করলে অসাধু বলা যায়?
কত আর মুখোশের অন্তরালে নিজকে ঢাকা যায়?
কত অশালীন বাক্যবানে হৃদয় ক'রে ফালি ফালি
কত দিবানিশি চলে আর কথায় দিয়ে জোড়াতালি?


কত মানুষের সম্পদ হাতালে তাকে বলা হয় লোভী
ভেতরটা তার নষ্টামিতে ভরা, উপরে মানব ছবি।
কত অশালীন কথা বললে তাকে বলে বেশরম
সহস্রটা হৃদয় ভেঙেও-বলে সে "এ তাে কম"।


কত মানুষের ঠকালে, তাকে বলে ঠকবাজ
দিবালোকে ঘুরে বেড়ায়, নেই তার কোন লাজ।
কর্মে নয় মুখে বুঝায় সে ঐশী জ্ঞান ধারী
করতে চায় এদেশে নিজের মতবাদ জারী।


আমলে ও আখলাকে তার নেই মুমিনের চিহ্ন
নিজের অনুকুলে মসলা ঝাড়ে, মানুষ সে ভিন্ন।
সারাটাদিন অন্বেষণ করে পরের ত্রুটি-বিচ্যুতি
পৃথিবীর কেউ তার সম নয়, গেয়ে বেড়ায় এ স্তুতি।


কত মানুষের ক্ষতে আঘাত দিলে তাকে বলে ব্যথাদান
দেখে না কভু কিভাবে মানুষের হৃদয় হয় খান খান।
শত প্রকার অন্যায় নিয়ে কিভাবে থাকা যায় শুদ্ধ
ভাবতে গেলে বিবেকবানদের হয়ে যায় বাক রুদ্ধ।


কত কৌশল জানা থাকলে নিজের পাপের ভার
অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে পাওয়া যায় নিস্তার।
কথায় আছে শৃগালের সহস্রসম সিংহের একদিন
হাজার ধূর্তমীর পরেও তার বদন হয়না মলিন।


নিজের দোষ অন্য কেউ করে যদি অনুমান
নিজে সতর্ক না হয়ে অন্যের ভাঙে গর্দান।
হাজার অন্যায় করেও সে হয়না সতর্ক
স্বার্থের লাগি মানুষ বুঝে গড়ে তোলে সম্পর্ক।


কত মানুষের বিপদে ফেললে তাকে বলে অত্যাচারী
উপরে উপরে অভিনয় করে সে কঠিন পরপোকারী।
জনগণকে পুঁজি করে তার নীরব ব্যবসা চলে
সমাজকে বুঝায় "ধর্মগুরু" শুদ্ধতার কথা বলে।


এভাবে আর কতকাল চলে তার দিন
কোন্ পূণ্যে শোধ দেবে বল তার এ ঋণ?