তোমরা আমায় কবি বললে!
আমি তো কবি নই
কেমন করে কবি হব
জীবনে ছুঁইনি বই।
কেমন করে কলম ধরতে হয়
শিখিনি জীবনে তাও
আমাকে তোমরা কবি বলো না
একথা ফিরিয়ে নাও।
আমি হলাম ভাই গবুচন্দ্র
নই কিছুতে দক্ষ
শুধু ঘাস বাদে ভাত খাই
এখানে কিয়ৎ পার্থক্য।
রচনা : ০২/১০/১৯৯৬ খ্রিঃ
নামহীন মানব আমি
আমার নামটি হল অনাথ
ধরল না কেউ-ই মোর হাত
ভাবে সবাই, আমি হাভাত
কথা তাে হয় না কারো সাথ।
একা জেগে থাকি রাত
জোড়েনা দুচোখের পাত
আসে না মোর সুপ্রভাত
হল না কিছুতে বাজিমাত।
বাপ কেন রাখল অনাথ
লোকে ভাবে নেই জাত
হৃদয়ে পেলাম বড় ঘাত
কেউ বলে না কিয়া বাথ!
চােখ পল না বইয়ের পাত
নিরক্ষর; পড়তে বললে কাৎ
মিললো না এ জীবনের খাত
এভাবে কি জীবন চলে ধ্যাত!
বাবা-মা কেন নিল না সাথ
ছুড়ে ফেলে দিল ফুটপাত
এখন যারা দেয় কাপড় ভাত
নই তাে তাদের ঔরসজাত।
বয়স হল দেড় কুড়ি সাত
নামহীন একেমন বারাত
পালক পিতা নাম দিল অনাথ
উঠতে বসতে খাই পরের লাথ!