পেঁচা ডাকে পেঁচা ডাকে
বাঁশ বনের ফাঁকে ফাঁকে।
পেঁচা ডাকে খ্যাচর-ম্যাচর
বাঁশ কাঁদে কচর মচর।
বাঁশের পাতা রি রি ক'রে
তাসবীহ্ জপে মধুর স্বরে।


নকুল নিলো মুরগী ছানা
পেঁচারা তার করছে মানা।
বাচ্চাগুলো কাঁদতে ছিলো
মা জননী দৌঁড়ে এলাে।
জননী তাদের, ডানা মেলা-
টেনে নিলো বক্ষমূলে।


কোকিল ডাকে কুহু কুহু
মলয় বহে হুহু হুহু।
কােকিল ডাকে দূরের গাঁয়ে
শুনছি বসে গাছের ছায়ে।
কােকিলেরই মধুর গলা
করলো সবার প্রাণ উতলা।


দুপুর রােদে গগণ জুড়ি
দামাল ছেলে উড়ায় ঘুড়ি।
রােদ্রে পুড়ে খাটছে চাষী
রাখাল দূরে বাজায় বাঁশি।
জ্বালানী বোঝা শিরে লয়ে
ফিরছে ঘরে গাঁয়ের মেয়ে।


গাঁয়ের পথে জামের বনে
লাল শালিখে দিবস গোণে
ভাবছে কবে আসবে জ‌্যৈষ্ঠ
জামের রঙে রাঙাবে ওষ্ঠ!
শাপলা ফােটা দীঘীর জলে
কৃষাণ গরুর গাত্র মলে।


অনল জ্বলে অনল জ্বলে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে।
পরিয়া সে রঙিন শাড়ী
পরী হয়ে সে যাবে উড়ি।
দখিনা বাতাসে হেলে-খেলে
নাচিতেছে  সে  কটি  দুলে।


রচনা : ০৩.০৫.১৯৯৬ খ্রিঃ