হতে পারে মাঠের মজুর, মাথায় ভাঙা টোকা,
ঘর্মাক্ত ছেড়া জামায়, তার দেখতে লাগে বোকা!
যতই তোমরা বোকা ভাবো, তারও আছে মন,
বোকা না হলে সোনা অঙ্গ, মেশায় কাদারই সন?


তার বাবা গরীব বলে, পাঠায়নি তাকে স্কুল
পড়ার সময় মাঠের মজুর, হল ছিন্ন মুকুল!
খেলা-ধূলার সঙ্গী তো হায়! জুটল না তার বেলায়
শৈশবে বড়দের কাজ, মেতেছে এ কোন্ খেলায়?


তোমার ক্ষেতে মজুর খাটে, দু'টি পয়সার জন্য,
সে হত যদি শিক্ষিত, করত সবাই গণ্য।
কিছু পয়সা খরচ করে নিচ্ছো তাকে কিনে,
আসলে সে যে কে,  কেউ কী তাকে চিনে?


ভোর হতে সাঁঝাবধি খাটাচ্ছো তার গতরে!
সোনার দেহ হচ্ছে ঝামা, ছিন্ন বস্ত্র ছতরে!
যতই তোমরা তাকে দেখে হওনা উন্নাসিক,
তোমাদের মুখে অন্ন দেয়, এইটা ভেব ঠিক।


তাকে দেখে তোমার চোখে লাগতে পারে বোকা
তার ভেতরে কী আছে, তা দিয়ে দেখ ঠোকা!
সবাই তারে তুচ্ছ ভাবে, করে অনেক কদর্য
দেখল না কেউ উঁকি দিয়ে, ভেতরে কী সৌন্দর্য!


সবাই যদি বাবু হবে, ফসল ফলাবে কে?
যে কাজেই ডাকবে, পাবে, এই অবুঝ খোকাকে।
হয়তো সে পড়তে পারে না, বুঝতে পারে সবই,
তোমরা থাকো বইয়ের পাতায়, সে যে মাঠের কবি!


রচনা : ২৮.০৮.২০১৪ খ্রিঃ