পুরোনো বাড়ি, পুরোনো ভিটা, আগের মতই সব
নাম পাল্টিয়ে, রং পাল্টিয়ে, বৃথাই শুধু উৎসব!
শোও না যখন ওই বাড়িতে, বাসর কেন বলো?
খেতে চাওনা ক্ষেতের সবজি, আঙিণার ওই জলও।
থাকবে যখন চাঁদের দেশে, কেন রং করালে ঘর?
পাল্টে নিয়েছ গায়ের ত্বক, পাল্টে নিয়েছ স্বর।
পতিত ভিটার চিন্তা করার সময় আছে তোমার?
তুমি এখন ব্যস্ত ভীষণ, ভাবনার নেই শুমার।
পোড়ো বাড়িতে ছিল কিছু ইঁদুর, বাঁদুড়, কেঁচো
আরও ছিল বেশ কয়েক, উভচর আর গেছো।
কেঁচো করে জমি উর্বর, বলে উদ্ভিদ বিজ্ঞান
তা কি কওয়া লাগে! আছে তো তোমার দিগ্জ্ঞান।
ইঁদুর, বাঁদুড় ভিটায় না হয় ফেলছিল একটু বিষ্টা
তাতেই মারার ফাঁদ পাতলে, বলি এ কেমন নিষ্ঠা!
থাকতে যদি না চাও হেথা, চত্বর রাখ ছাফ
নৈলে তােমার অলক্ষ্যে ঘরে ঢুকবে বিষধর সাপ!
ইঁদুর, বাঁদুর খাচ্ছিল না হয় গাছের ফুলো কলা
কি বা এমন হচ্ছিল ক্ষতি, তাতেই এত জ্বলা!
এই ভিটাতে বছর সালে আসবে তো একদিন
বলার সময় পাবে না কাউকে, 'কি হল দ্যাখদিন'!
সময় আছে এখনও তুমি পার অনেক ভাবতে
সময় গেলে সব হারাবে, থাকবে শুধু কাঁপতে।
দেখব তোমার গায়ে কত আছে আগুনের ফুলকি
সাপে যখন পেঁচাবে গলা, বুঝবে ছিল ভুল কি।
রচনা : ০৭.০৯.২০১৪ খ্রিঃ