ছিঁচকে চোর এক, সারাদিন বেড়ায় পায়চারী ক'রে
কার গাছে কি পোক্ত হয়েছে, দেখে দু'চোখ ভ'রে।
বাজার ও পাশের অলিগলিতে ঘোরে নানা ছলে
সে ভদ্র লোকের ভঙ্গি নিয়ে হাঁটে খুব কৌশলে।


ঘন ঘন বিড়ি ফোঁকে, আর তাকায় আলুক ফুলুক
চুরির প্লান করার জন্য ঘুরে ঘুরে দেখে মুলুক।
তার চোখের শ্যেন দৃষ্টি পড়ে কিসের উপর
কেউ রাখে না এ খবর, ঘোরে সকাল দুপোর।


বাড়ি, বাজার, স্কুলে, কোথা নতুন সাইকেল আছে
সময় নিয়ে টার্গেট করে, গোপনে ঘুরে পাছে পাছে।
সুযোগ বুঝেই ঝেড়ে দেয়, বেন্ধে আটে ঘাটে
সংগোপনে বেচে আসে, বাঁকড়ার সাইকেল হাটে।


কারো শ্বশুরের দেওয়া সাইকেল যখন চুরি করে
একারণে অনেক পরিবারে কলহে যায় ভরে।
গরু, ছাগল বেচা অর্থে কেনা অতি শখের জিনিস
সুযোগ পেলেই ছিঁচকে চোর করে দেয় ফিনিস।


মজুরের রক্ত জল করা টাকায় কেনা সাইকেল
সুযোগ পেলেও ছাড়ে না, এত নিকৃষ্ট তার দেল।
তার জন্য কত শিক্ষার্থীর অতি কষ্টে দূর থেকে
পায়ে হেঁটে আসতে হয় স্কুলে ধুলো কাদা মেখে।


অনেক শিক্ষার্থী বাবা-মায়ের কাছে বকা-ঝকা খায়
সে জঘণ্য, সে ঘৃণিত, তার একটুও লজ্জা নাই।
কত লোকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে
কে কাকে গালি দিচ্ছে, সে সব কথা কে ধরে।


(বাকী অংশ আগামী কাল)