আমীন গেটের বাইরে সাইকেল রেখে খেতে যান
ওঁর বাড়ি থেকে সাইকেল নিল পর পর তিন খান।
অতিষ্ট হয়ে এবার কিনেছেন ভাংড়ি সাইকেল
ফ্রি কাটা, চেইন কভার বিহীন, নেই ব্রেক বেল।


প্যাডেল ভাঙা, জং পড়া, একখান টায়ার ফাটা
ওটা তার পছন্দ না, দেখলে জ্বলে যায় গাটা!
রাতে শিয়রে কে কখন দামী মোবাইলটা রাখছে
এই গরমে কার ঘরের জানলা খোলা থাকছে।


সে ভদ্রভাবে সবার মাঝে বেড়ায় খোলামেলা
এভাবেই জমে ওঠে তার চুরি করার খেলা।
তাকে সবাই ভদ্র ভাবে, করে না কেউ অসম্মান
সে মুখোশের আড়ালে ওঁত পাতা আস্ত শয়তান।


শবে বারাত, শবে  কদরের রাতগুলোতে হয় প্রীত
ভাল হত, আল্লাহ যদি এমন রাত রোজ রোজ দিতো।
মহা পবিত্র, মহিমান্বিত ইবাদতের এই রাতে
একটি বার পাওয়ার জন্য কামনায় দুহাত পাতে।


পবিত্র এ রাতে যত ধর্মপ্রাণ মুসলিম নর-নারী
গোনাহ মাফের জন্য সবাই করে আহাজারী।
গভীর রাতে তারা যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যায়
তখন ওরা স্বাধীন, তাদেরকে আর কে পায়?


অভাবী নয়, স্বভাব খারাপ, তারা নওজোয়ান
গতর ঘামানোর ভয়ে এ পথে হয়েছে আগুয়ান।
এইতো এই শবে বারাতের রাতে উঠল হঠাৎ ঝড়
বিদ্যুৎ নেই, বাহিনীকে বলল এবার ঝাপিয়ে পড়।


ওদিন রাতে আমীনের বাড়ি থেকে মুরগীর ঘর
মুরগী শুদ্ধ ক'জন মাথায় করে নিল মাঠের 'পর।
তাতে কিছু বাচ্চাও ছিল, ডাকছিল চিউ চিউ
শেয়াল আবার মাঝ মাঠে ডেকেছে কারফিউ।


খালি ঘর আর বাচ্চাদের রেখে মুরগী নিল ছেকে
সকালে গিন্নী বলেন, কোটা নেই এসো তো দেখে।
তারা ছিঁচকে চোর, তাদের নেই লজ্জা শরম হায়া কায়া
তারা সবারে দুঃখ দেয় তাদের অন্তরে নেই দয়া-মায়া।


রচনা : ১৭.০৯.২০১৪ খ্রিঃ