সারাদেশে আছে যত খেটে খাওয়ার দল
ঈদের বাজারে সবাই এখন খুব কর্ম চঞ্চল।
আমিও একটু ব্যস্ত, কারণ আগামীকাল শুক্রবার
সব প্রয়োজন মেটাতে হবে কাল পাব না আর।


আজ সকালে এসেছি এক করাত কলের মাঠ
ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন করতে লাগবে কিছু কাঠ।
ঘন ঘন লোড শেডিং-এ ঘটছে কাজে বিঘ্ন
অপেক্ষায় সেথা দাঁড়িয়ে আছি, মনটা উদ্বিগ্ন।


হঠাৎ দেখি এক যুবক ছেলে ক্ষীপ্র গতিতে
একহাতে আলম সাধু চালিয়ে এসে দাঁড়াতে।
বড় বড় দশ-পনেরটি কাঠের লগে লোড
বাহুকাটা দেখে আমার হৃদয়ে লাগল চোট!


তাকে দেখে আমি নিজের ব্যস্ততা ভুলে গেলাম
মনে মনে ভাবি শুধু আজ একি দেখতে পেলাম!
সে সন্তর্পণে দড়িটা খুলল, দেখলাম চেয়ে চেয়ে
এই রোদ-গরমে শরীরে তার যাচ্ছে ঘাম বেয়ে।


মোটা মোটা গুড়ি গুলো সে অতি কৌশলে
ঘুরে ঘুরে এক হাতেই চমৎকার ভাবে নামালে।
কৌশল দেখলাম দড়িটিও এক হাতে গোছাবার
দেখে মুগ্ধতায় মনটা যে ভরে গেল আমার।


একখানা হাত নেই তবু অনুতপ্ত দেখলাম না বিন্দু
মুগ্ধ হয়ে চেয়েই রইলাম, এযেন আমাবষ্যার ইন্দু।
পঙ্গুত্বের দাবি নিয়ে দোরে দোরে হাত পাততে পারত
তাতে তার চলত ভাল, খাটা লাগত না আর তো।


কিন্তু সে দারস্ত না হয়ে কঠিন সংগ্রামে রত
পঙ্গুত্বের কাছে সে করেনি কো মাথা নত!
ওরে চোর, গোন্ন্ডা-মস্তান, কালোবাজারীর দল
কথিত ভিক্ষুক নামের অভিনেতা, মনে যাদের ছল।


চেয়ে দেখ ওর কতবেশী আত্মসম্মান বোধ
পঙ্গুত্ব ওর মনকে করতে পারেনি গতিরোধ!
ওরে দেখ চেয়ে যদি তোদের ফেরে একটু হুশ
ওকে আমার রইল সালাম, ও এক বীর পুরুষ।


রচনা : ০২. ১০.২০১৪ খ্রিঃ