মনায়ন্তর, ক্ষুধা পেটে বইয়ের অক্ষর পাথরের মত
স্কুল ত্যাগ, তুমি লেগে গেলে জীবিকার সন্ধানে
যে কোন কাজে, পেটে ক্ষিদে নিয়ে আত্মসম্মান বাঁচে না
আমি আত্মসম্মান রাখতে গিয়ে ভবঘুরে হলাম
কেরামবোর্ড, দাবা, তাশ ও 'ম'তে মেতে রইলাম দিবানিশি
তুমি কষ্টকে বেছে নিলে
আমি শরীরের যত্ন নেওয়া শুরু করলাম
আমি একথা ভুলে গেছি
আমার মা-বাবা একদা হাটের ঝাড়ুদার ছিল
তুমি নিঃস্বার্থের মত মুখ বুজে জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে
এক শিল্পীতে রূপান্তরিত হলে
আমি অনৈতিকতায় আকন্ঠ মগ্ন
কালোবাজারী-ধান্দাবাজী করে অর্থ-বৈভবের পাহাড় গড়লাম
এবার কিছু সামাজিক কাজ করব; করলাম
এবার একটা সামাজিক স্বীকৃতি চায়; পেলাম
আমি ভাত ছড়ালেই কাক আসে
আমার গায়ের গন্ধ শুকে কুকুরও আসে।


তুমি কালজয়ী শিল্পী
তোমার ঘরে ভাত নেই
রং-তুলিতে ফুল আঁকলে
প্রজাপতি সত্যিকার ফুল ভেবে তাতে এসে বসল
ক'দিন পরে চৌরাস্তার মোড়ে আমার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে
মানুষ আমাকে ঘৃণার সাথে যোজন যোজন দূরে ঠেলবে
আমার আর কি যোগ্যতা আছে?
অপকর্মের পদবীগুলোকে বাদ দিলে
দাহের ছাই-য়ের পরিমাণও অবশিষ্ট থাকবে না
ক'দিন পরে ওই চৌরাস্তার মোড়েই তোমার ভাস্কর্য নির্মাণ হবে
পৃথিবীর মানুষ আজ যারা তোমাকে চেনেনা
আমাকে ভুলতে শুরু করবে
আর তোমাকে চিনতে শুরু করবে
যার শেষ নেই


রচনা : ০৪.১০.২০১৪ খ্রিঃ