তুমি এসেছিলে
এক অনাবাদী জমিতে
মুখ থুবড়ে পড়া জীর্ণ কুটিরে
তোমার পায়ের কোমল পরশে
জমিটি পরিণত হল সবুজ উদ‌্যানে।
কুঠিরের চারপাশে লাগালে
গোলাপ, রজনীগন্ধা, হাস্নাহেনা
প্রভৃতি ফুলের চারা;
তোমার স্নেহাশিষ হাতের পরশে
সে গুলো হয়ে উঠল প্রাণবন্ত;
তাদের বুকের সৌরভে ভরে গেল চারপাশ।
এমন মূহুর্তে বেজে উঠল তোমার বিদায়ী ঘন্টা।
এঁকে দিয়ে গেলে বুকে ব্যথাভরা চুম্বন,
জানি না আজ তুমি কোথায়!
তুমি চলে গেছ আমার অলক্ষ‌্যে,
দিতে পারিনি তোমায় কিছু,
দিয়ে ছিলাম কিছু নোনাজল
তোমার অজান্তে মৌনভাবে।
আমার বুক জুড়ে বেঁচে আছে একটি মায়াবী মুখ,
আমার অস্তিত্বকে কুরে কুরে খাচ্ছে অহর্নিশ।
এতটুকু জল দেবে এমন লোক নেই এ সংসারে
যা তুমি দিয়েছিলে তাও শুষে নিয়েছে
চারদিকের শুষ্ক পরিবেশ।
তোমার অনুপস্থিতিতে
আরো ডালপালা ফুল ছিড়ে ছুটিয়ে দিচ্ছে
তোমার অলক্ষ্যে
তুমি এসে দেখে যাও।


রচনা : ০৩.১১.১৯৯৭ খ্রিঃ
কাব্যগ্রন্থ : "প্রথম বসন্তে ফোটা ফুল"
প্রকাশ : ডিসেম্বর-২০০৭ খ্রিঃ