রক্তকণায় মিশেছিল, গাঁয়ের জল-বায়ু-রোদ্র-ছায়া
হৃদয়ে আঁকা ছিল প্রতিটি মানুষের স্নেহ-মায়া।
শত কষ্টের মাঝেও আমার ছিল অনাবিল আনন্দ
গাঁয়ে ছিল, ফুলের হাসি, পাখির কন্ঠে মিষ্টি ছন্দ।


আমি কালের পরিক্রমায় ভুলে গেছি আজ সব
কঠিন প্রস্তর দন্ডে পরিণত, জীবিত এক শব।
পানাহারহীন পাথর, সয়ে যাচ্ছি আলো-আঁধার
আমি ভুলে গেছি আজ ভঙ্গিমা হাসা কাঁদার।


রোদ-বৃষ্টি, বিরাগ-বিস্বাদ যাচ্ছি নীরবে সয়ে
নিভৃতে পরিত্যাক্ত স্থানে, হৃদয় যাচ্ছে ক্ষয়ে।
আমার অভ্যন্তরে আছে মৃত্যুহীন এক পতঙ্গ
তার আহার জোগান সৃষ্টিকর্তা, বাহিরটা নিস্তরঙ্গ।


আমার সমুখে ছিল অদৃশ্য রঙিন সুখ স্বপ্ন
এখন আকাশ জুড়ে দেখি শুধু দৃশ্যমান দুঃস্বপ্ন।
হারিয়ে যাব, নাকি আলোর ঠিকানা খুঁজে পাব?
কোন্ দিকে এসেছি? আর কোন্ দিকে যাব?


রচনা : ২৮.০৭.১৯৯৯ খ্রিঃ
কাব্যগ্রন্থ : "প্রথম বসন্তে ফোটা ফুল"
প্রকাশ : ডিসেম্বর-২০০৭ খ্রিঃ