ভাঙা বেড়ার মাঝে আজ আমি
কালের আবর্তনে পড়েছি ঢুকে
বোবা কান্না নিয়ে তাই দিবা-যামী
সমুখে উন্মুক্ত দ্বার, তবু মরছি মাথা ঠুকে।


স্রষ্টা থেকে মুখ ফিরিয়েছি আজ
ভুলে গেছি তাঁর ফরমান
ঠাঁই নাই বিশ্বাসীদের মাঝ
হাত ধরে টানে শয়তান।


জনমটাকে লাগে না ভালো
তবু পেতে চাই দুনিয়ার আস্বাদ
দিন দিন যাচ্ছে নিভে মনের আলো
কল্যাণের পথে, মনে বাদ-বিসংসাদ।


একমুঠো অবান্তর আবেগ নিয়ে
নিভৃতে ঝুলছি মাকড়সার জালে
শান্তি পাব কোথা গিয়ে
ভাবছি হাত দিয়ে গালে।


অগোছালো কিছু ভাষা সংগোপনে
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে ভেতরের চোখে
এতটুকু শান্তি নেই হৃদয়ের কোণে
ভ্রান্ত পথিক আলেয়ার আলোকে।


অন্যায় সয়না মর্যাদাকে রাখতে অক্ষুন্ন
তবুও সে ভাবনায় মুহুর্ত্ব সম নেই ক্ষ্যান্ত
জীবনটাকে মনে হয় একেবারে শূন্য
কভু কি পারব হতে মানুষের মত জ্যান্ত!


পাপরাশির প্রতিদান সম্পর্কে কি অনাবহিত?
তবে কিসের অভীকে অন্ধকারে পড়েছি নূয়ে?
আমি অমর কৃপা হতে হব কি বঞ্চিত?
কেউ কি অন্তকরণ দূষিত রক্তে দিল ধূয়ে?


আমি বিস্মিত, কার এমন বুকের পাটা
কে আমাকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে ঘিরে?
চিন্তার আগুনে পুড়ছে আমার সারা গাটা
যেতে কি পারব না কল্যাণের পথে ফিরে?


হে খোদা, তুমি তো চিরঞ্জীব, শ্বাশত
তুমি থাকতে কেন এমন হল তবে
সর্বত্র তুমিতো সদা জাগ্রত
জানতে তো আমার এমন হবে।


তবে সে কোথায় পেল এমন ছলনা
আমি তো তোমাকেই বেশি করি ভক্তি
কবে ওকে ধ্বংস করে ওগো বলনা
তোমার তো আছে অনেক শক্তি!


রচনা : ১৪.১০.১৯৯৭ খ্রিঃ