আমি পৃথিবীতে শতাধিক মালা দেখেছি,
প্রতিটি মালায় বেষ্টিত আছে
রঙ-বেরঙয়ের রকমারী ফুল।
গুটি কয়েক মালার নাম জানি,
কিন্তু কোনো ফুলকে স্ব-নামে চিনিনা।


তাদের ঐক্যতায় সুর তরঙ্গায়িত হয়
তাতে আমার হৃদয় আন্দোলিত হয়না।
হয়ত তাদের বুকে কান্না ধ্বনিত হয়,
আমি অনুভব করতে পারি না।
ভেতরের নৈসর্গিকতায় মুগ্ধ হই না।


তাদের সাথে আমার হৃদয় স্পন্দিত হয়না
তাদের বুকের বিদ্রোহের আগুনে
আমার ধমনী কেঁপে ওঠে না।
বুকে ধারণকৃত দুঃখ-শোক, হাহাকার
আমাকে মর্মাহত করে না।


শত সহস্র শতাব্দি ধরে থরে থরে সাজানো
বিপন্ন মানবতার আর্তনাদে বিচলিত হই না।
তাদের অন্তরের ভাষা দূর্বোধ্য লাগে।
আমি তাদের সুরে একাত্ম হতে চাই।

দূর্বোধ্য জগৎ আর পিপাসার মাঝে
অক্ষমতা একটি আকাশাবধি দেয়াল।
আমি তা টপকাতে পারি না।
আমি যেন তালা বদ্ধ কোন ঘরের পাশে
প্রতিক্ষামান কোনো কিছুর অপেক্ষায়!


আমি কি বধির ? নাকি অক্ষম ?
সব গূঢ় রহস্যে জ্ঞাত না হয়ে
উৎস্যুক নেত্র আর অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে
কিভাবে মৃত্যুর দুয়ারে হাজির হই!


রচনা : ০৭.১১.২০১৪ খ্রিঃ