শৈশবকালে দেখেছি মোরা চাষাবাদের হাল
সে সময় আজ বদলে গেছে, এসেছে নতুন কাল।
বোশেখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সে সময়ে বৃষ্টিপাত হলে
ভোরবেলা বেরুতো কৃষক, জমি চষতো লাঙ্গলে।
জবু-থবু করে শস্য বীজ ছড়িয়ে দিতো ক্ষেতে
জৈব সার প্রয়োগ করলে ফসল উঠতো মেতে!
ঝক্ মকে মোড়কে ছিলনা সার-কীটনাশক-বীজ
আধুনিক প্রযুক্তি স্বপ্ন, কৃষক মেধা খাটাতো নিজ।
মাঠে মাঠে তড়িৎ স্যালো, দ্রুতগামী লাঙ্গল
ঝক্ মকে সার-বীজ আর কীটনাশকের বোতল।
যতই মাটি ঘোটো আর চক্ মকে সার দাও
জমি উর্বরতা হারায় যদি, ওসব করা ফাউ।
জমির মাটি বেশি চষলে তাতে লাগে নোনা
মেশিনে রোপন-কর্তন, নেই হাতে আর বোনা।
রঙিন ধানে কৃষকের মুখে মুক্তো ঝরা হাসি
আজ সে মধুর হাসি নেই, ধান আছে রাশি রাশি।
সে ধানের ভাত খেয়ে সবে পেয়েছে মেধা বল
হয়েছে পশু মোটা-তাজা খেয়ে সে ধানের পল।
ঢেঁকিকলে ধান ভেনেও সুখে কেটেছিল দিন
অটোমিলের চাউলে পাই না সে স্বাদ ভিটামিন।
অভাব ছিল, দুঃখ ছিল না, আকাশসম হৃদয়
আজিকার দিনে শ্রদ্ধা-সম্মানের হয়েছে অবক্ষয়।
দারিদ্রতা ছিল হয়ত, ছিল না মিথ্যা বৈভব
আজ দিগন্ত জোড়া ফসল, নেই নবান্ন উৎসব!
রচনা : ২৪.০৯.২০১৪ খ্রিঃ