এক বনে ছিলো এক অত্যাচারী হাতি
তার বড় বড় কান দুটি যেনো ছাতি।
গাছের মতো মোটা মোটা চারখানা পা
অহংকারে ভরা ছিলো তার সারা গা।


হাতি মাটিতে পা ফেলায় থপাস্ থপাস্
সে সকল  প্রাণীদের করে জীবন নাশ!
ওর সামনে যা-ই পড়ুক চার পা দিয়ে
সবকিছু তচনচ্ করে বেড়ায় খেয়ে-দেয়ে।


ও হেলে-দুলে পথ দিয়ে হেঁটে যায় যবে
পোকা-মাকড়েরা পিষ্ট হয়ে মারা যায় সবে।
সে খুব বদ, তোয়াক্কা করে না কারো কথা
কি নিষ্ঠুর-নির্মম! সবার মনে দেয় ব্যথা!


পোকা-মাকড়ের স্বজনেরা তাদের জন্য কাঁদে
শোকে পাথর হয়ে বলে, "মারলি কোন্ সাধে?
ওরা ক্ষুদ্র তাই, কেউ কভু আসে না বাঁচাতে
একদা ওরা দেখা করে এক ফুলপরীর সাথে।


দুঃখ প্রকাশ করে বলে "ওগো ফুলপরী
বলো দেখি বিপদে এখন আমরা কি করি?"
ফুলপরী পিঁপড়াদের বলে "শোনো ভাই-
আমার কথা শোনো তবে কোনো চিন্তা নাই!"


পিঁপড়ারা হেসে বলে "থাকো এখন তুমি
হাতির কাছে আমরা তবে চললাম এক্ষুণি"
পিঁপড়ারা এমনভাবে এলো কেউ না জানে
চুপে চুপে তারা একজন ঢুকলো হাতির কানে।


হাতি চমকে উঠে বলে "কানের ভেতর কে তুই!
সে বলল "আমি পিঁপড়া তোর কানে ফুটাবো সুই"
তখন হাতি বলে "এত সাহস কে দিয়েছে তোকে
আমি হলাম হাতি আজ মেরে ফেলবো তোকে।


(বাকী অংশ আগামী কাল)