পিঁপড়া খুব শান্ত চিত্তে বলে "হাতি ভাই
পারবে না মোর সাথে, মিছে করোনা বড়াই!"
হাতি বলে "চুপ কর শয়তান ইবলিশ
ক্ষুদ্র হয়ে তুই আমাকে উপদেশ দিস!"


"তাহলে দেখাই মজা" পিঁপড়া বলে হেসে
কথামত হাতির কানে কামড় দেয় অবশেষে।
পিঁপড়া তার কানের ভেতর কামড়ায় কুট কুট
হাতি কান ঝাড়ে আর দেয় শুধু ছুট।


পিঁপড়া শুধু কামড়ায় আর হাসে খিল খিল
হাতি রেগে ফোলে-বলে "একি মুশকিল!"
নিরুপায় হাতি ক্ষোভে ফোলে আর রাগে
কামড়ের চোটে হাতি এবার কাঁদতে লাগে।


পিঁপড়া আরো কামড় দেয় হাতি দেয় লাফ
বলে "গেলাম রে বাঁচাও রে করে দাও মাফ!"
পিঁপড়া হাতিকে বলে "আর করবে বড়াই?"
ভুল স্বীকার করে বলে "এমন হবে না ভাই!"


"ছোটোদের কি আর করবে কভু অবহেলা?"
" না না সবাইকে নিয়ে এবার করবো খেলা"
পিঁপড়া কানের ভেতর থেকে এলো বেরিয়ে
আহ্লাদে হাতি তার শুড়টা দিলো বাড়িয়ে।


পিঁপড়া শুড়ের ডগায় এবার বসলো আসি
তারপর সবাই মিলে হলো বেজায় খুশি!
মহানন্দে হাতি ও পিঁপড়ারা দিন কাটালো নেচে
সৃষ্টি জগতে সবাই সমান সকলের কাছে।


পান্থপাড়া, শার্শা, যশোর।
১৭.১১.১৯৯৬ খ্রিঃ
(আমার এ কবিতাটি মূলত ৩য় অথবা ৪র্থ শ্রেণীর হাতি পিঁপড়ার গল্প, পাঠ্য বই-য়ে সম্ভবত লেখকের নাম উল্লেখ ছিল না আর থাকলে অনেক দিনের ব্যাপার সেটা আমি ভুলে গেছি, গল্পটি আমার অত্যান্ত ভাল লাগে, এটাকে কাব্য রূপদিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি)