পশু-পাখি, বৃক্ষরাজির আছে; মানুষের ধর্ম নেই
জাত, বৈষম্য, বড়াই আছে শুধু আজ মানুষেই!
বৃক্ষরাজি সময়মত দেয় ফুল-ফল আর ছায়া
মানুষের কোনো প্রকৃতি নেই, আছে শুধু কায়া।


পশু-পাখিরা খালি পেটে রোজ ঘর হতে বের হয়
ভরা পেটে ফেরে সন্ধ‌্যায়, লাগে না কোনো সঞ্চয়।
ওরা জীবিকার জন্য কভু করে না কোনো চিনতা-ই
সুখে থাকার জন্য মানুষ করে চুরি ডাকাতি ছিনতাই।


ঘৃণিত কাজ করে চরিত্র পশুত্বের নিচে চলে যায়
বেয়াকুব মানুষ ইজ্জত-সম্মান সবকিছূকে খোয়ায়।
টাকা-পয়সা মানুষ তো নিয়ে যায় না সাথে
তবে কেন এত জুলুমবাজি চলে দিনে রাতে?


পশু-পাখি অবোধ তবুও মনিবের করে সমাদর
মানুষ স্রষ্টাকে ভুলে নানা অপরাধে হয় বিভোর।
হিংস্র পশুর নিচেও চলে গেছে মানুষের স্বভাব
নিজের মর্যাদা বুঝবারও জ্ঞানের বড় অভাব।


সবাই জানে মাটির দেহ এই মাটিতেই মেশে
ফেরে না বিবেক চলে যায়, বেঘোরে অবশেষে!
সকলের উর্দ্ধে মর্যাদা, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব
প্রাণীর কাছে আদর্শ নেয়, অদ্ভুত প্রাণী আজীব!


রচনা : ০৮.-৩.২০১০ খ্রিঃ