কর্মকে কভু ঘৃণা নয়, হোক না ক্ষুদ্র অতি,
যে যে মাপের মানুষ, সে সে-ই কাজে ব্রতী।
চাঁদাবাজের হাতে অস্ত্র, ভয়ে কেঁপে থর থর!
সোহাগে কোলে মাথাটি, টেনে নেয় নরসুন্দর।


অস্ত্রের ভয়ে সবকিছু খোয়াতে হয় জান বাঁচাতে,
নরসুন্দরের হাতে গলা দিতে হয় দাঁড়ি চাঁচাতে।
সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি প্রিয় জানের মূল্য,
চাঁদাবাজ কভু পারবে না হতে নরসুন্দরের তূল্য।


তার কোলে আরামে ঘুমিয়ে পড়ি আস্থায়,
নিজের গলাটা সবে জমা দিয়ে দেয় স্বেচ্ছায়।
কষ্টের ভয়ে অসাধুরা করে যায় ধান্ধাবাজী,
শুধু নিজের ভাবনা ভেবে যায় এই অকাজী।


মেধাবী সচ্চরিত্র ছেলে, সংসারে অভাবের জোয়ার,
সাধ আছে, সাধ্য নাই লেখাপড়ার খরচ জোগাবার।
এরা আত্মসম্মানে মাঙে না ভিক্ষা, করে না কভু চুরি,
পেটের দায়ে রিক্সা চালায়, মাঠে-ঘাটে দেয় মজুরি।


তীব্র ঘৃণা করো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দূর্নীতিবাজদের
নরসুন্দর, সুইপার, কুলি, মজুর শ্রদ্ধার সকলের।
পেশা যা-ই হোক না কেন, দেখবে না তো  তা,
কর্মঠ মানুষ বলতেই সৎ, ওরাই মোদের ত্রাতা।


দিনমজুর, গাঁয়ের চাষাদের ভাববো নাতো নগণ্য,
সকলেই সমান, বেঁচে থাকে সকলে সবার জন্য।
দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোরদের দুঃচরিত্র, নোংরা মাথা,
সুপ্ত মেধা অঙ্কুরেই বিনাশ, মেলতে দেয় না পাতা।


সমাজকে ক'রে রাখে দুর্গন্ধময় ডাস্টবিনের মত
ওদের দুষিত নিঃশ্বাসে আকাশ বাতাস কলুষিত।
কারো পরিশ্রমের ঘাম প'ড়ে এই মাটি হয় ধন্য
দুষ্কর্মের ঘামে এই মাটি অভিশাপ দেয় তার জন্য।


রচনা : ১০.০৩.২০১৫ খ্রিঃ