একটি ছেলে চোখে দে'খে, শোনে না সে কানে,
নিজের নামও জানে না নিজে, গভীর দুঃখ প্রাণে!
বাবা-মা সবাইকে দে'খে, জানে না তারা কে হন
কেউ বোঝে না মনের আর্তি, যতই আপন জন।
"রাত দিন চাঁদ সুরুজ" দেখে, জানে না কিছুর নাম
আমৃত্যু জীবন ধারণে তার, ইশারায় চলে ধরাধাম।


একটি ছেলে শুনতে পারে, দেখতে পায় না চোখে,
জগতের যত রঙের আধার, দে'খে সে কল্পলোকে।
মা-বাবা, ভাই-বোনকে ডাকে, দে'খে না তাদের মুখ
মনের কষ্টে এই ছেলেটির, ভেঙে যায় আহ! বুক।
কানে শোনে "রাত দিন ভোর" চোখে দেখে না তা,
কিভাবে দেখবে বিশ্বজগৎ, ঘিরে রয়েছে দৃষ্টিহীনতা।


এই দু'ছেলের এভাবেই কেটে যায় দুঃসহ জীবন,
এদের ব্যথা বুঝবার মত আছে কোথা ত্রিনয়ন?
একটি ছেলে দে'খে শোনে, হাঁটতে পারে না পা'ই,
একবিন্দু চলতে পারে না অন্যের সাহায্য ছাড়াই।
এদের প্রতি কভু করুণা, অভক্তি রুষ্ট ব্যবহার নয়,
দেখাও তাদেরকে সহমর্মিতা, সহানুভূতিময় হৃদয়।


একবার ভাবো তোমার বেলায় এমন যদি হত?
তোমার মনটাও কী পুড়ে হত না ক্ষত-বিক্ষত?
এদের মনে দিও না আঘাত, ভেতরটা খুব সূক্ষ!
দায়িত্ব আর ভালবাসায় ভুলিয়ে দিও সব দুঃখ।
চারপাশে বয়ে যায় কতো না মুগ্ধতার জোয়ার
এদের ভাগ্য এড়িয়ে যায়, হৃদে শূন্যতার হাহাকার!


"সহমর্মিতার সংবেদন"