যদি দুঃখগুলো একতরফা জেঁকে বসে জীবনে,
আদৌ কী তা হতে পারে প্রকৃত জীবনের মানে?
নিষ্পাপ ক'রে পাঠান প্রভু, ধরার মাঝে যাকে
নিজের দোষের কারণে নিজেই প'ড়ে বিপাকে।


একতরফা কষ্ট, ব্যথিতের দুঃসহ যন্ত্রণার রাত,
ব্যথার চোটে জর্জরিত, আসে না তার প্রভাত!
অনাবিল আয়েশ, এটাও তো সুখী জীবন নয়!
ভাঙা খুটি উপর যেভাবে ঘরের ছাউনিটা রয়।


শুধু কষ্ট, নেই অবসান! এ নয় স্বস্থির জীবন,
সুখ-দুঃখ দুটো মিলেই মানুষের জীবন ধারণ।
শুধুই সুখ একঘেয়েমি, শ্রাবণের দিনের মত,
রোদ চাওয়া বোকার কাজ, বর্ষণ অবিরত।


অতি আয়েশী জীবন সৃষ্টিসাধনে করে উদাসীন
নিজ স্বভাবে দুঃখ আসে, আলোর পথটা ক্ষীণ।
বিচক্ষণতা, উপলদ্ধি, বুদ্ধিমত্তা, আদর্শ শিক্ষা গ্রহণ-
বোধগম্য স্বল্পতায়, অতীতের নজীর অনুসরণ।


বিপদের আভাসে সতর্কতায় অল্পেই হয় সমাধান,
তুচ্ছ ঝঙ্ঝাকে অবজ্ঞায়, বেড়ে হয় সাগর সমান।
দয়া-মায়া সহ্যশক্তি সন্তুষ্টি উদারতা জ্ঞানীর তাজ
উপেক্ষা একদা বাদাশাহকেও পরায় ভিখারী সাজ।


খেয়ালের বশবর্তী হয়ে সত্য থেকে ভ্রষ্ঠ
পারিষ্পরিক বিরোধে জড়িয়ে জীবন নষ্ট।
সত্য থেকে সরে যেয়ে মন্দ লাগে ভালো,
ভালো হয় মন্দ, জীবনের রঙ চিরকালো।


রচনা : ২০.০৩.২০১৫ খ্রিঃ