সবাই বলে নিরব বড্ড ঢিলে
খাবার খায় আস্তে আস্তে গিলে।
নিরব তাদের বলে সকাল-সাঁঝে
"সাজতে পারি সকল রকম কাজে"।
খেতে আসে নিত্য ভরবেলাতে
সদা মেতে থাকে নিজ খেলাতে।
জামার বোতাম খোলে লাগায় পথে
গোসলে তিন মিনিট কোনোমতে।
সবার সামনে নিত্য কাজ এই
এছাড়া আর কিছু তো নেই।
"তবে মোরে নিয়ে এই ধারণা
মন থেকে পাল্টাতে পারোনা?"
"একই কাজে দেখলে কারো
ভাল করে চিনতে পারো?"
যদি বলো কাটবে মাটি
কোমর জলে বাঁধবে আঁটি।
টানা রোদে কাটবে ধান
তার মাঝেও গাইবে গান।
বিছলী বাঁধায় জুড়ি নেইকো ওর
কাজ করে সকাল সন্ধে ঘোর।
বলার থাকলে বলো আরও কিছু
কোনো কাজে পড়ে না সে পিছু।
মাটির ঝুড়িও বইতে পারে
এতে ভালো মানাই তারে।
জমি রোপে কোমল দুটি হাতে
পায় তুলে কেউ পারে না তার সাথে।
এবার যদি কেউ বলে ওকে ঢিলে!
তাহলে পড়বে বলো মুশকিলে!
সব পরিবেশ মানিয়ে নিতে পারে
কোনো কাজে ও নাহি হারে।
সব কথা এখানেই কী শেষ?
কাজের ফাঁকে কাব্য লেখেও বেশ!
রঙ-তুলি দাও দিচ্ছে ছবি এঁকে
অভিভূত হবে তুমি তা দেখে!
ওস্তাদ ওর ছিল না কোনোকালে
কী করে শিখলো হাতদে ভাবো গালে!
কোন্ কাজটা পারে না বলো নিরব?
অনেক গুন তার দিয়েছেন যে রব!
শুধু খাওয়ার সময় খায় একটু ধীরে
কাজের সময় তাকায় না পেছন ফিরে।
রচনা : ১৪.০৩.১৯৯৮ খ্রিঃ