তুমি নাই
বলে তাই-
পাখিদের গান শুনি না,
স্বপনের বীজ বুনি না।
পাখিদের বুকেও হাহাকার,
কতদিন দেখি না পানাহার।


তুমি নাই
বলে তাই-
চোখে দেখিনা চাঁদের হাসি,
সবকিছু যেনো লাগে বাসি!
তুমি ওগো মোদের ফেলে-
কোন্ নিকষ আঁধারে গেলে!


তুমি নাই
বলে তাই-
বিহগকূলে দল বেঁধে-
ভোর-নিশি বেড়ায় কেঁদে
বৃষ্টি তো আর সুর তোলে না,
রঙিন ফুলে চোখ খোলে না।


তুমি নাই
বলে তাই-
চোখে পড়ে না সবুজ শোভা,
হৃদয় জুড়ে আলোর প্রভা।
চারদিক শুধু উচ্চ আবাস,
আর দেখিনা খোলা আকাশ।


তুমি নাই
বলে তাই-
দখিনা বায়ু বুক জুড়ায় না,
খোকারা আর ঘুড়ি উড়ায় না।
সবুজ পাতায় গাঁও ঢাকে না,
কোকিলেরা আর ডাকে না।


তুমি নাই
বলে তাই-
নিজকে বিলাতে তোমার মত
আর কাউকে দেখিনাতো,
এই চরাচর তুমিহীনা
সবকিছু লাগে অচেনা!


তুমি নাই
বলে তাই
মনটা সবার হতবিহ্বল!
শুকিয়েছে দু'চোখের জল!
সারা দিবা-নিশি কতজনা
তোমায় নিয়ে আলোচনা।


তুমি নাই
বলে তাই-
উঠান-বাড়ি তোমায় খোঁজে,
দাদি দুঃখে চক্ষু বোজে!
মায়ের মনের ঘোর কাটে না!
ভাবেন, কেনো বাড়ি আসোনা!


তুমি নাই
বলে তাই-
ভাই-বোনদের পাও না কাছে,
দুপুরে চড়ো না গাছে গাছে।
বাবার চোখে ঘুম আসে না
ভাবেন, তোমায় আর পাবে না।


(কোনো এক পরিবারের একটি ছেলের পরিবার থেকে
নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনা পর, পরিবারের স্বজনদের
মনের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি এই লেখাটিতে)  


রচনা: ১৪.০২.২০০৭ খ্রিঃ