তুমি হঠাৎ ক'রে কীভাবে  হলে এমন স্বার্থপর!
পাল্টাইনি অবয়ব; পাল্টিয়েছে তোমার অন্তর।
মোর অলখে আনন্দটা ঘনীভূত হয় যখন
দেখি মনের পর্দাটা টেনে দাও ঠিক তখন।


জানলা-দরজার সাথে ঘুলঘুলিটাও আটো
দেখে মোর দুঃখগুলো প্রাণ ফিরে হয় ডাটো।
যেনো বাইরে না যায় তার রঙের ছটা
আমার সময়ের গায়ে সর্বদাই রংচটা!


সূর্য-রশ্মি, জোছনার ঢেউ ঢুকতেও ব্যর্থ হয়
ভেতর থেকে আসেনা বিচ্ছুরণ সূচাগ্রের ন্যায়।
আমি একদা ওই ঝরোকায় ছিলাম ময়না পাখি
সেথা দিবানিশি আহলাদে করতাম ডাকাডাকি।


হালকা দুঃখেও তুমি তো যাও দূরে ভেসে
জানো কী সুখের সাথে দুঃখ কীভাবে মেশে!
আজ আমার হালকা দুঃখে মন ভরে না
চাই আরও তরতাজা, যেন জং ধরেনা।


আমিও গভীর দুঃখে টেনে দিই পর্দাটা
মনে খিড়কীটা গভীর অভিমানে আটা।
বাইরে যেন বের না হয় এর সুরভিটা
কেউ যাতে আঁচ না করে কী তার দূরভিটা।


আনন্দে আমায় না হয়, করো না অংশীদার
সুখী হও, আমার কাঁধে দিয়ে সব দুঃখের ভার।
দুঃখের বোঝা নিতে কারো করবো না আহবান
সুখ নয়, দুঃখ পেলে নিজকে ভাববো ফলবান।