প্রভু মহান বিশ্বজাহান সৃজিয়েছেন হাতে
যা দেখি সব তা অকৈতব ছন্দ আছে তাতে।
চন্দ্র-তারা বসুন্ধরা ছন্দে আবর্তিত
বুকের ভেতর হৃদি যন্তর চলে ছন্দায়িত।


ছন্দে নিই শ্বাস ছন্দে বিশ্বাস ছন্দে হৃদয় বন্ধন।
জীবের অঙ্গে খুন তরঙ্গে ছন্দে বয় স্পন্দন।
কায়ার সাথে ছায়া মাতে ছন্দে আলোর মাঝে
বায়ুর তালে গাছের ডালে মর্মরধ্বনী বাজে।


ঝর্ঝর ক’রে ছন্দে ঝ’রে সবুজ পাতা শীতে
শীতের শেষে ফাগুন আসে আবার ভ’রে দিতে।
সাঁঝের বেলা বিহগ মেলা ছন্দে ফেরে কুলায়
সন্ধ্যাক্ষণে ভোর বিহানে গানে হৃদয় দোলায়।


ছন্দে চলা ছন্দে বলা দোষের কেনো তবে?
ছন্দে খুঁজি ছন্দে বুঝি ছন্দে চলি সবে।
ছন্দ শিখি ছন্দে লিখি যত্ত ছড়া-কাব্য,
ছন্দে হাসি ছন্দে ভাসি ছন্দ দিয়ে ভাববো।


ছন্দে আঁকি ছন্দে ডাকি ছন্দে মধুরতা
মানাভিমান মন ম্রিয়মান ছন্দে নীরবতা।
ছন্দে শুরু ছন্দে কারু ছন্দে করি পূর্ণ,
ছন্দে রাগি ছন্দে জাগি ছন্দে করি চূর্ণ।


ছন্দে বাঁধি ছন্দে রাঁধি ছন্দে তুলি খাবার,
ছন্দে খেলি ছন্দে মেলি ছন্দে ভাবি পাবার।
ছন্দে পড়ি ছন্দে গড়ি ছন্দে কাটি যুক্তি
ছন্দে পুষি ছন্দে খুশি ছন্দেই হোক মুক্তি।


ছন্দে শুনি ছন্দে গুনি ছন্দে হিসাব করি
ছন্দে দুলি ছন্দে তুলি ছন্দে হৃদয় ভরি।
নিত্যদিনে ছন্দবিনে জীবন দূর্বিসহ,
দিবারাতে ছন্দের সাথে কাটাই অহরহ।


ছন্দে গেয়ো ছন্দ বেয়ো ছন্দে কেটো সাঁতার
ছন্দ ভুলে গহন তলে ডুব দিও না পাথার।
ছন্দে যাচি ছন্দে বাঁচি ছন্দে জাগাই সাড়া
লাগলে মন্দ ছাড়ো ছন্দ না হও ছন্নছাড়া।


শার্শা, যশোর।
রচনা : ২০.০৬.২০১৫ খ্রিঃ