সবকিছুরই ছুটি আছে, মনের ছুটি নাইরে
অভিমানে বলে মন "কোথায় ছুটি পাইরে!
শরীরের সব অঙ্গ দেখো নরম বিছানাতে
কী সুন্দর আরামে কাটায় অত্ত বড় রাতে।


রাতের বেলা সবাই ঘুমায়, আমি থাকি জেগে
স্বপ্ন এসে ঝাঁকে ঝাঁকে তাড়ায় ঝড়ের বেগে।
ষড়ঋতুও ছুটিতে যায়, আমার হয় না যাওয়া
সবার দাবি পূরণ হয়, আমার হয় না পাওয়া।


এই যে ভাবো শীতটা কেমন হদ্দ রকম জ্বালিয়ে
ফাগুন মাসে হঠাৎ ক'রে গেল কোথায় পালিয়ে।
দশমাস পরে নতুন রূপে দেখা দিবে এসে
বসন্তকাল এসে সেও ছুটি পেলো শেষে।


গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত ওরাও ছুটি পায়
কী অপরাধ আছে বলো আমার ছুটি নাই।
পশু-পাখি, গাছ-গাছালী সবাই ছুটি পাচ্ছে
চন্দ্র-তারা মেঘ-সুরুজ তারাও ছুটিতে যাচ্ছে।


নদীর জোয়ার ভাটার সময় কাটায় অলস প্রহর
থাকছে নাতো থেমে গাঁ ও মস্ত বড় শহর।
পায়ের তলায় মানুষ পড়া ব্যস্ত সড়ক তারাও
দিনের বেলাতে পাচ্ছে ছুটি নৈশ প্রহরাও।


আমার ব্যথা কেউ বোঝে না, সবাই কেমন ব্যস্ত
মনের দুঃখ কার উপরে করি বলো ন্যস্ত।
আমার শুধু ছুটি পাওয়ার নেই যে অধিকার
আমার উপর চলছে কেন নিষ্ঠুর অবিচার।


"এত্তো ক'রে বলি তবু শোনে না কেউ কানে
কায়াহীন তাই আমায় সবাই তুচ্ছ বলেই জানে।
একবার আমি দিলে আড়ি, কেমন হবে ভেবো
কখন দেখো ফাঁকি দিয়ে হঠাৎ ছুটি নেবো।"


রচনা : ২৩.০৬.২০১৫ খ্রিঃ