জন্মে আনন্দ! তবে মৃত্যুতে কেনো পাই ভয়!
প্রতিদিন করি আলিঙ্গণ; তবু কাটে না সংশয়!
সারাদিন কর্মক্লান্তির পর, শরীরটা অবসন্ন,
তন্দ্রাছন্ন ঢুলু ঢুলু চোখ, ভাল লাগে না অন্ন।


খাদ্য শরীরকে বাঁচায়, নিদ্রা বাঁচায় কাকে?
নিদ্রাছন্ন চোখে আর ভাল লাগে না কিছুকে।
ঘুম শরীরকে আছন্ন করে নিজেরই অজান্তে
সব ভুলে শরীর এলিয়ে যায় প্রশান্তি পেতে।


কোথায় কীভাবে আছি, ভাববার অবকাশ নেই
রাস্তায়, অফিস, ভ্রমণে, থাকো নাকো যেখানেই।
ভুলে যাই, সঙ্গী-সম্পদ আছে কী না মোর সাথে,
জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও থাকি কাতরাতে।


গাড়িতে বসে গন্তব্য অতিক্রম করে গেলাম কী না?
তন্দ্রা এলে কেন মোরা নিজকে সামলাতে পারি না?
ঘুমের দেশে পাড়ি দিতে কেউ পায় না ভয়
আত্মবিশ্বাস; জানি জেগে উঠবই নিশ্চয়।


ঘুম মৃত্যুর স্বরূপ- উপলদ্ধির এক মাধ্যম
ঘুমের মাঝেও কেউ জীবন করে অতিক্রম।
মোরা অনায়াসে সত্বাকেও বিলাই নিদ্রাডোরে
মৃত্যুকে বরণে ভয়, বস্তু জগতের মোহে পড়ে।


রচনা : ১৮.০৬.২০১৫ খ্রিঃ