এক পশলা বৃষ্টি, একটু স্বস্তির জন্য কতো না হাহুতাশ!
কিন্তু কে জানতো সেই স্বস্তি এমন দূর্যোগ বয়ে আনবে?
এইতো কদিন আগে জলের তৃষ্ণায় পাটের চারা
শুকিয়ে ঝাটার কাঠি হয়ে গিয়েছিল।
কে জানতো ক’দিন পরে তার সলিল সমাধি হবে?


এক পশলা বৃষ্টির জন্য বৃক্ষ তৃণলতা কত আহাজারি করেছে!
অবশেষে বাধ্য হয়ে তারাও মাটির সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করল।
যেখানে গরু-ছাগল চরতো, বাচ্চারা খেলতো
কে জানতো সেখানে মাছেরা রঙিন পাখনা নেড়ে খেলা করবে?


রাতের বেলা পথের ধারে বসে শরীরে বাতাস লাগানো,
কে জানতো সেখানে একদিন শামুক রাশি রাশি ডিম পাড়বে?
উপরে আকাশ, নিচে পুকুর, মাঠ-ঘাট, নদী বিল খাল একাকার,
বড় বড় বৃক্ষগুলো গ্রাম গুলোকে একমাত্র চেনার উপায়।
আউশের চারা রোপনের সময় জলের জন্য
কৃষক কত কান্নাকাটি করল, অবশেষে চোখের জল দিয়েই
চারা রোপন করতে হল, কে জানতো তার ক্ষেত তলিয়ে যাবে?
সে কী জানতো এই জল একদিন তার গৃহে প্রবেশ করে শাসিয়ে যাবে?


গ্রীষ্মের দাবদাহে যেজন বৃক্ষের ছায়াতে সপেছিল ক্লান্তির দুপুর,
সে কী জানতো সেখানে আজ নৌকা চলবে?
ভ্যাপসা গরমে, এপাশ ওপাশ, নির্ঘুম রাত!
কে জানত ভূমি ধ্বস হলেও একদিন তার ঘুম ভাঙবে না?


কে জানতো জনমানবহীন নির্জন বিলের মাঝে
রাস্তার উপর মাছের হাট বসবে?
এসব খবর কেউই রাখে না
শুধুমাত্র একজনই রাখেন, আদি থেকে অনাদি,
এটা তার ক্রোধ! তাকে স্মরণ করি না।
বরং উলটো তাঁকে আরও দোষারোপ করি!