চৈতী রোদের চেয়ে কবিতার মেজাজ কড়া!
বড্ড লঘু-গুরুজ্ঞানহীন, ভাবে হামবড়া!
কালবোশেখীর মত মুখে তীব্র দাপট!
দাঁড়ি কমা'র দেয় না সম্মান, চোয়ালে চাপট!
মগজের শিরায় শিরায় গর্জে ওঠে বিদ্যুৎ
সাদা কাগজও তাকে দেখে হয় ধৈর্যচ্যূৎ!


কবিতার 'ক' পালিয়ে মাখল খৈফোটা রোদ
পুড়ল ত্বকের কোমলতা, জাগল না বোধ!
ভগ্ন দেহ তবু কবিতার কমে না বড়াই!
সতর্কতার বদলে বৃথা স্মৃতি হাতড়ায় ৷
কাব্যের 'ক' 'গ' হয়ে সাজলো গদ্য
গদ্য প্রেমীও দুঃখে বিমর্ষ হল সদ্য !


ষড়ঋতুর সাথে গড়ে সে গভীর সখ্যতা
নিশ্বাসে নিবিড় বন্ধুত্ব, বিশ্বাসে পরিপক্কতা ৷
বজ্রপাতের সাথে মেতেছে কোন খেলায়?
চমকাইনি, প্রাণ ভাসিয়েছে অচিন ভেলায় !
কাব্য হওয়ার কোশেশে জীবন ঝালাপালা!
শ্লোগানে আজ মুখরিত, সহে দহনজ্বালা!


বিকেল গড়াল, এখনও কবিতার বজ্রধ্বনি!
প্রতিকারের মাত্রা উড়ায় মেঘ অশনি!
বোবা মাটিকে সপে করেছে আত্মহত্যা!
গদ্য হবে তবু দাম্ভিকের দেবে না সত্তা!
কী সার্থকতা আছে বেঁচে মরে থেকে?
কী লাভ যে ছন্দ কাড়ে, তাকে মনে রেখে?